নিজস্ব প্রতিবেদক:
পবিত্র ঈদ-উল আজহার আগেরদিন রাজধানী ঢাকার পশুর হাটগুলোতে পশুর সংকট দেখা দিয়েছে। প্রায় পশুশূন্য হয়ে যাওয়া হাটগুলোতে এখন ক্রেতার সংখ্যা হাটে থাকা পশুর তুলনায় কয়েকগুণ বেশি।
কোরবানি নিশ্চিত করতে ক্রেতারাও মরিয়া হয়ে উঠেছেন পশু কিনতে। আর সুযোগ বুঝে পশুর দামও বাড়িয়ে দিয়েছেন বিক্রেতারা।
শুক্রবার (৩১ জুলাই) সকাল থেকে রাজধানীর আফতাবনগর, মেরাদিয়া ও খিলগাঁও রেলগেটসহ বেশ কয়েকটি পশুর হাটে কোরবানির পশুর সংকট দেখা গেছে। এ অবস্থায় যারা এখনও কোরবানির পশু কিনতে পারেননি, তারা পড়েছেন বিপাকে। সাধ্যের মধ্যে পশু কিনতে ক্রেতারা ছুটে বেড়াচ্ছেন রাজধানীর এক হাট থেকে অন্য হাটে। তবে ক্রেতারা বলছেন বৃহস্পতিবার গরুর সংখ্যা আরও বাড়বে। তখন দামও আরও কমবে।
বৃহস্পতিবার (৩০ জুলাই) দিবাগত রাতেও ছিল একই চিত্র। বিকালের মধ্যেই এসব হাটে অধিকাংশ পশু বিক্রি হয়ে যায়। তখন পশুর দাম স্বাভাবিক ছিল। সন্ধ্যার পর থেকেই পশু কমতে থাকে। তখন দামও বাড়িয়ে দেন বিক্রেতারা।
রাতে খিলগাঁও রেলগেট হাটে গিয়ে দেখা গেছে, পুরো হাঁটই প্রায় খালি। বাঁশ ও খুঁটিগুলোতে কোনো গরু নেই। যে কয়টি গরু রয়েছে সেগুলোর দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন বিক্রেতারা।
এই হাটের পশু বিক্রেতা আফজাল বারি বলেন, ‘৮টা গরু নিয়ে কুষ্টিয়া থেকে এসেছি। সবগুলো বিক্রি শেষ হয়ে গেছে। হাটে গরু কম। ক্রেতা বেশি। তাই দামও বেশি।’
মেরাদিয়া হাটের ব্যবসায়ী সালাউদ্দিন বলেন, ‘কয়েকটি গরু নিয়ে এসেছিলাম। বিকালে এগুলো দাম উঠেছিল ৭০ থেকে ৭৫ হাজার। কিন্তু রাতে এগুলো ৯৫ হাজার থেকে এক লাখ টাকা দামে বিক্রি করেছি।’
আফতাবনগর হাটে গিয়ে দেখা গেছে, গরুর চেয়ে ক্রেতা কয়েকগুণ বেশি। মাঝারি সাইজের গরুর দামও চড়া। বড় বড় গরুগুলোর ক্রেতা সেভাবে দেখা যায়নি। মাঝারি ধরনের প্রায় সব গরুই শেষ। বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ী বলেছেন গরু শেষ। তারা আরও গরু আনছেন।
সান নিউজ/ আরএইচ/ এআর