সান নিউজ ডেস্ক : আবহমান কাল থেকে বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও শান্তির অনন্য নিদর্শন উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, যুগ যুগ ধরে এদেশের সব ধর্ম, গোত্র ও বর্ণের মানুষ মিলেমিশে শান্তিতে বসবাস করে আসছে।
আরও পড়ুন : শান্তি চুক্তির ২৫ বছর পূর্তি
শুক্রবার (২ ডিসেম্বর) ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি দিবস ২০২২’ উপলক্ষে দেওয়া বাণীতে রাষ্ট্রপতি এ কথা বলেন।
রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি দিবস ২০২২’ পালনের উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই।
এ বছর দিবসটির রজতজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে আমি বাংলাদেশের শান্তিপ্রিয় জনগণকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
আরও পড়ুন : আমরা দেশের শান্তি বজায় রাখতে বদ্ধপরিকর
মো. আবদুল হামিদ বলেন, বাংলাদেশের তিন পার্বত্য জেলা রাঙামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ির অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আর সেখানে বসবাসরত জনগোষ্ঠীর বর্ণিল ভাষা-সংস্কৃতি, কৃষ্টি ও জীবনাচার এ অঞ্চলকে পর্যটকদের কাছে বিশেষভাবে আকর্ষণীয় করেছে।
তিনি আরও বলেন, একসময় বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ এ অঞ্চল ছিল অশান্ত ও অবহেলিত। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রাজ্ঞ ও দূরদর্শী সিদ্ধান্তে ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর সরকার কর্তৃক গঠিত পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক জাতীয় কমিটি ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির মধ্যে এক ঐতিহাসিক শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
আরও পড়ুন : বাংলাদেশকে ঋণ দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক
ফলে পার্বত্য জেলাগুলোতে শান্তি প্রতিষ্ঠা ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের পথ সুগম হয়, সূচিত হয় শান্তির পথচলা। শান্তি প্রতিষ্ঠায় প্রধানমন্ত্রীর এ উদ্যোগ বাংলাদেশের ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবে বলেও জানান তিনি।
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ আরও বলেন, শান্তিচুক্তি বাস্তবায়নের ফলে পার্বত্য জেলাসমূহে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের চলমান ধারা আরও বেগবান হবে–এটাই আমার প্রত্যাশা।
আরও পড়ুন : এইডসে মারা গেছেন ২৩২ জন
তিনি আরও বলেন, আমি পার্বত্য জেলাসহ দেশের সার্বিক উন্নয়নে সবাইকে অধিকতর অবদান রাখার আহ্বান জানাই।
সান নিউজ/এইচএন