সান নিউজ ডেস্ক: প্রথমবারের মতো ‘মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলিমসহ অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানবাধিকার পরিস্থিতি’ সর্বসম্মতিক্রমে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে গৃহীত হয়েছে।
আরও পড়ুন: হাজীদের সঙ্গে প্রতারণা করলে কঠোর ব্যবস্থা
বুধবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে রেজুলেশনটি যৌথভাবে উত্থাপন করে ওআইসি ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন। এবারের রেজুলেশনটিতে ১০৯টি দেশ সহ-পৃষ্ঠপোষকতা প্রদান করেছে যা এ পর্যন্ত সর্বোচ্চ।
বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) জাতিসংঘের বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন এসব তথ্য জানায়।
আরও পড়ুন: ৬ হাজার বন্দিকে মুক্তি দিল মিয়ানমার
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রেজুশেলনটি বাংলাদেশের প্রতি সংহতি প্রকাশ এবং বাংলাদেশের গৃহীত মানবিক প্রচেষ্টার স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। রোহিঙ্গাদের ওপর মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য ন্যায় বিচার ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ, আইসিসি, আইআইএমএম ও অন্যান্য দায়বদ্ধতা নিরূপণকারী ব্যবস্থার সঙ্গে যেভাবে সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছে তা প্রসংশিত হয়েছে এতে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, রেসপনসিবিলিটি অ্যান্ড বার্ডেন শেয়ারিং’ নীতির আওতায় বাংলাদেশে থাকা রোহিঙ্গাদের জন্য মানবিক সহায়তা অব্যাহত রাখতে জাতিসংঘের সদস্য দেশগুলোর প্রতিও আহ্বান জানানো হয়েছে এবারের রেজুলেশনে।
আরও পড়ুন: ৩০ নভেম্বরের মধ্যে এসএসসির ফল
জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা জানান, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানবিক বিবেচনায় ২০১৭ সালে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের জন্য বাংলাদেশের সীমান্ত খুলে দেন। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় এই যে রোহিঙ্গাদের স্বপ্রণোদিত, নিরাপদ ও টেকসই প্রত্যাবর্তনের উপযোগী পরিবেশ সৃষ্টি করতে মিয়ানমার ব্যর্থ হওয়ায় বাংলাদেশে দীর্ঘমেয়াদি সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে।
বাংলাদেশের শার্জ দ্যা অ্যাফেয়ার্স মো. মনোয়ার বলেন, প্রত্যাবর্তনের আগ পর্যন্ত বাংলাদেশে ক্যাম্পে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গারা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সংহতি পাওয়ার দাবি রাখে। এই মানবিক সাড়াদান প্রক্রিয়া বাস্তবায়নের জন্য পর্যাপ্ত অর্থায়ন প্রয়োজন।
আরও পড়ুন: সাগরে লঘুচাপ
জাতিসংঘের এ রেজুলেশনটি রোহিঙ্গা মুসলিমদের প্রতি বিভিন্ন অঞ্চল ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সংহতি প্রকাশের একটি অনন্য উদাহরণ। তবে এটি অত্যন্ত উদ্বেগের বিষয় যে মিয়ানমারের পরিস্থিতি ক্রমাগত অবনতির দিকে যাচ্ছে। যার ফলে বিলম্বিত হচ্ছে রোহিঙ্গাদের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন।
সান নিউজ/এমআর