সান নিউজ ডেস্ক : ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েত উল্যাহ জানিয়েছেন, রাজধানীর মিরপুর অঞ্চলের সব বাসে ই-টিকিটের মাধ্যমে রোববার (১৩ নভেম্বর) থেকে ভাড়া আদায় করা হবে। মিরপুরে ৩০টি কোম্পানির বাস চলাচল করে।
আরও পড়ুন : রোববার রাজধানীর যেসব মার্কেট বন্ধ
শনিবার (১২ নভেম্বর) রাজধানীর ইস্কাটন এলাকায় ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি আয়োজিত ‘রাজধানী ঢাকার গণপরিবহনে ই-টিকিটিং পদ্ধতি চালু’ বিষয়ক এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
খন্দকার এনায়েত উল্যাহ বলেন, ২০২৩ সালের ৩১ জানুয়ারি থেকে ঢাকা শহরে চলাচলকারী ৬০ টি কোম্পানির বাস এবং ২৮ ফেব্রয়ারি থেকে ঢাকা ও ঢাকা শহরতলীর ৯৭ টি কোম্পানির বাস ই-টিকিটিংয়ের আওতায় চলাচল করবে।
গত ২২ সেপ্টেম্বর থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধে ই-টিকিটিং পদ্ধতি চালু করা হয়। ঐ সময় মিরপুরের ৮ টি বাস কোম্পানিতে প্রথমে পরীক্ষামূলকভাবে এটি চালু করা হয়েছিল বলে জানান ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব।
আরও পড়ুন : মাঠজুড়ে শিম ফুলের শোভা, চাষির মুখে হাসির আভা
এই পদ্ধতিতে যাওয়ার পর দেখা গেল মালিকরা ইনকাম সঠিকভাবে পাচ্ছি না জানিয়ে তিনি বলেন একদম কমে গেছে। তাদের অনেকে বাস চালাতে আগ্রহী হলো না। পরে তাদের সঙ্গে কথা বলে ই-টিকিটিং মেশিন বাসের ভেতরে দেওয়া হলো।
পরীক্ষামূলকভাবে সেই কাজটি করায় দেখা গেছে আগের চেয়ে ফলাফল অনেক ভালো এসেছে। এতে করে মালিকদের ইনকাম বেড়েছে। আগে গাড়িতে দুই জন কর্মী থাকলেও এখন সেখানে তিন জন কর্মীর প্রয়োজন হচ্ছে। এদের মধ্যে একজন চালক, হেলপার এবং কনডাক্টর।
ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক বলেন, পরিবহন মালিক সমিতির পক্ষ থেকে আমরা একটি মনিটরিং সেল গঠন করেছি ই-টিকিটিংয়ের জন্য। দুজন কর্মকর্তা এটি সমন্বয় করবেন। এর জন্য আমরা একটি হটলাইন তৈরি করেছি যেখানে তিনটি নম্বর রয়েছে।
আরও পড়ুন : পঞ্চগড়ে অগ্নিকাণ্ড : ৭০ দোকান পুড়ে ছাই
নম্বরগুলো হচ্ছে : ০১৬১৮৯৩৩৫৩১, ০১৬১৮৯৩৬১৮৫ এবং ০১৮৭০১৪৬৪২২। সমিতির পক্ষ থেকে আট জনকে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে, যারা পুরো ঢাকা শহর ঘুরে ঘুরে বিষয়টি দেখবেন। পাশাপাশি কয়েকটি কোম্পানির পক্ষ থেকে তারাও স্পেশাল চেকার রাখবেন।
তিনি আরও বলেন, রোববার থেকে মিরপুরের ৩০টি কোম্পানিকে আমরা এই টিকিটিংয়ের আওতায় নিয়ে আসছি। এর জন্য সকল প্রকার প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।
ইতিমধ্যে মিরপুর মালিক সমিতির সেন্ট্রাল কমিটির মাধ্যমে সব কাজ সম্পন্ন হয়েছে। আগামী ৩১ জানুয়ারির মধ্যে ঢাকা শহরের মধ্যে চলাচলকারী সব কোম্পানির বাসকে ই-টিকিটিংয়ের আওতায় আনব।
আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ঢাকা শহরতলিতে (গাজীপুর, সাভার, নবীনগর, ধামরাই, মুন্সীগঞ্জ) চলাচলকারী ৩৭টি বাসকেও ই-টিকিটিংয়ের আওতায় আনা হবে। সুতরাং ২৮ ফেব্রয়ারির মধ্যেই ঢাকা শহর এবং শহরতলিতে চলাচলকারী সব বাস ই-টিকিটিংয়ের আওতায় আসবে।
ঢাকা শহর এবং শহরতলিতে চলাচলকারী মোট বাসের সংখ্যা হচ্ছে ৫ হাজার ৬৫০টি। এর মধ্যে ঢাকা সিটিতে চলে ৩ হাজার ১১৪টি এবং শহরতলিতে চলে ২ হাজার ৩৩৬টি।
আরও পড়ুন : বাংলাদেশে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে
পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব বলেন, ই-টিকিটিং চালু হলে অসম প্রতিযোগিতা বন্ধ হবে। কারণ চালকদের বেতন নির্ধারণ করা দেওয়া থাকবে। ই-টিকিটিংয়ের জন্য বর্তমান থেকে আরও অনেক টাকা বেশি বেতন নির্ধারণ করে তাদের দেওয়া হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কোষাধ্যক্ষ আজমল উদ্দিন আহমেদ সবুর ও দপ্তর সম্পাদক সামদানী খন্দকারসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
সান নিউজ/এইচএন