সান নিউজ ডেস্ক : চলতি মাসের ২২ তারিখ শুরু হতে যাচ্ছে ইন্ডিয়ান ওশান রিম অ্যাসোসিয়েশনের (আইওআরএ) তিন দিনব্যাপী সম্মেলন। জোটের ডায়ালগ অংশীদার হিসেবে মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে যোগ দিতে বাংলাদেশে আসছেন রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ।
আরও পড়ুন : গ্লাসগো জলবায়ু চুক্তি অনুসরণ করার এখনই সময়
সোমবার (৭ নভেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, আইওআরএর সদস্য রাষ্ট্র এবং ডায়ালগ অংশীদারদের ঢাকায় আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। অনেকেই আমন্ত্রণ পেয়ে সম্মেলনে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন।
কর্মকর্তা আরও বলেন, রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আসবেন। তিনি সম্মেলনে যোগ দেবেন। বাকিদের যারা আমন্ত্রণ পেয়েছেন, সবাই সিদ্ধান্ত দু-একদিনের মধ্যে হয়তো জানিয়ে দেবেন।
আরও পড়ুন : চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের বন্ধুত্ব ঐতিহাসিক
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, আইওআরএর তিন দিনব্যাপী উচ্চ পর্যায়ের সম্মেলনে শুরুর দুইদিন তথা ২২ ও ২৩ নভেম্বর হবে কমিটি অব সিনিয়র অফিসিয়ালসের সভা। এটি হবে সিনিয়র অফিসিয়ালসের ২৪তম সভা।
পরদিন ২৪ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে মন্ত্রী পর্যায়ের সভা। এটি হবে মন্ত্রী পর্যায়ের ২২তম সভা। এতে জোটের সদস্য ছাড়াও ডায়লগ পার্টনাররা অংশ নেবে।
রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ সম্মেলনে যোগ দিতে ঢাকায় কবে আসবেন, সেটি নিয়ে এখনো কোনো তথ্য গণমাধ্যমে প্রকাশ করতে চাইছেন না পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্টরা।
আরও পড়ুন : সকলকে মিতব্যয়ী হতে হবে
তবে কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, ২৪ নভেম্বর সকালে ঢাকায় আসার কথা রয়েছে ল্যাভরভের। ওইদিন এসেই আইওআরএর মন্ত্রী পর্যায়ের সভায় অংশ নেবেন তিনি।
পরদিন ল্যাভরভ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করার পাশাপাশি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসতে পারেন। ওইদিন তিনি ঢাকা ছেড়ে মস্কোর উদ্দেশে রওনা দেবেন।
কূটনৈতিক সূত্রগুলো আরও বলছে, ইউক্রেন যুদ্ধের পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্বব্যাপী বেশ চাপের মধ্যে রয়েছে মস্কো। এ ইস্যুতে পশ্চিমাদের থেকে অনেকটাই বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে দেশটি। আর জাতিসংঘে একের পর এক রাশিয়ার বিরুদ্ধে রেজ্যুলেশন গৃহীত হচ্ছে।
আরও পড়ুন : ১০০ সেতুর উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
পৃথিবীর অন্য অঞ্চলের বন্ধুদের যেন হারাতে না হয়, সেজন্য হয়তো বন্ধুত্ব ঝালাই করতেই রাশিয়ার মন্ত্রীর ঢাকা সফর হতে পারে।
কেননা, সম্মেলনে এসে ইউক্রেন ইস্যুতে বাংলাদেশকে পাশে চাওয়ার পাশাপাশি জোটের অন্যদের সঙ্গেও কথা বলার সুযোগ হবে। অবশ্য বাংলাদেশেরও সুযোগ হবে মস্কোর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা করার।
আরও পড়ুন : বিশ্বজুড়ে সব পণ্যের দাম বেড়েছে
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) ইউক্রেন আক্রমণ করে। এই আক্রমণটিকে আন্তর্জাতিকভাবে আগ্রাসন হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
জানা যায়, এ সামরিক অভিযান দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে ইউরোপের সবচেয়ে বড় শরণার্থী সংকটের সূত্রপাত করে, ৮.৮ মিলিয়নেরও বেশি ইউক্রেনীয় দেশ ছেড়েছে, এবং আরও লক্ষাধিক অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত হয়।
সান নিউজ/এইচএন