নিজস্ব প্রতিবেদক:
দলীয় নেতাকর্মীদের বন্যাকবলিত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেছেন, ‘এবারের বন্যা যদি দীর্ঘস্থায়ী হয়, সে ব্যাপারেও আমরা প্রস্তুতি নিয়ে রাখছি। আমাদের এবার সব ধরনের পরিস্থিতি মোকাবেলার প্রস্তুতি ও যথেষ্ট ব্যবস্থা আছে। আমাদের বন্যার্ত মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে, সবাইকে কাজ করতে হবে। আমাদের তরফ থেকে ত্রাণের কোনো সংকট নেই। পর্যাপ্ত ত্রাণ সহায়তা আছে।’
রোববার (২৬ জুলাই) ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানকের মোবাইল ফানে ভিডিও কলে সংযুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই আহ্বান জানান। এই সময় বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে এক অনির্ধারিত বৈঠক হয়। বৈঠকে গণভবন থেকে ভিডিও কলে সংযুক্ত হন শেখ হাসিনা।
আওয়ামী লীগ সভাপতি দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, ‘যেসব এলাকার বন্যা ওই এলাকার স্থানীয় সংগঠনগুলো যাতে বন্যার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ায় সেভাবে নির্দেশ দিতে হবে। এদিকে আবার করোনাভাইরাস; এটা নিয়েও সতর্ক থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বন্যার্ত মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে। বন্যায় যারা ঘরবাড়ি হারিয়েছে, তাদের ঘরবাড়ি করে দিচ্ছি। স্কুল কলেজে থাকার ব্যবস্থা করে দেওয়া হচ্ছে।’
সরকার প্রধান শেখ হাসিনা বলেন, ‘সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহায়তা নিয়ে কাজ করা হচ্ছে। করোনাভাইরাসের কারণে ধান কাটা আমরা আমাদের নেতাকর্মীদের সহায়তায় ভালোভাবে করতে পেরেছি। জাতির পিতার জন্ম শতবার্ষিকীতে ১৫ আগস্ট যেভাবে করতে চেয়েছিলাম, সেভাবে আমরা পারলাম না। তাই আমরা একদিকে বৃক্ষরোপণ করবো, আরেকদিকে বন্যাদুর্গতদের মাঝে ত্রাণ দেবো। দোয়া মোনাজাত করা হবে। বন্যাদুর্গত মানুষের ঘরে ঘরে ত্রাণ পৌঁছানো, খাবার বিতরণ এবং তাদের পাশে দাঁড়ানো, তাদের সাহায্য ও সহযোগিতা করা- এটাই হবে আমাদের কাজ। আমি বলবো, আমার পিতা, তিনি তো সাধারণ মানুষের জন্যই জীবন দিয়ে গেছেন।’
জাহাঙ্গীর কবির নানক তাকে জানান, মূল দলসহ বিভিন্ন সংগঠন বন্যাকবলিত এলাকায় কাজ করছে, ত্রাণ কার্যক্রম চালাচ্ছে। নেতারা করোনার মধ্যেও ত্রাণ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। মানুষের পাশে গিয়ে দাঁড়াচ্ছেন।
আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা অতীতে বন্যার সময়গুলোতে দুর্যোগকবলিত এলাকায় কীভাবে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন সে বিষয়েও স্মৃতিচারণ করেন। এক্ষেত্রে তিনি নিজ হাতে রুটি বানানোর কথা, খাবার বিতরণের কথা, খাবার পানি, স্যালাইন তৈরিসহ ওষুধ বিতরণের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন। শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের সব ধরনের প্রস্তুতি ও যথেষ্ট ব্যবস্থা আছে। তারপরও আমাদের সেভাবেই তৈরি থাকতে হবে।’
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শিক্ষামন্ত্রী ডা. দিপু মনি, তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, এস এম কামাল হোসেন, শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সুবর, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, কার্যনির্বাহী সদস্য আনোয়ার হোসেন প্রমুখ।
সান নিউজ/ এআর