মাতুব্বর শফিক স্বপন, মাদারীপুর: পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের আওতায় ফরিদপুরের ভাঙ্গা স্টেশন থেকে পরীক্ষামূলকভাবে পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্ত পর্যন্ত ৩২ কিলোমিটার ‘ট্র্যাক কার’ চলাচল শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন: কারও কাছে মাথা নত করা যাবে না
মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ভাঙ্গা রেলস্টেশন সংলগ্ন পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্প এলাকা থেকে পরীক্ষামূলক এ ট্র্যাক কারটি ছেড়ে যায়।
রেলওয়ে সূত্র জানায়, ৩২ কিলোমিটার লাইন নির্মান শেষ হলে মঙ্গলবার প্রকল্প সমন্বয়ক মেজর জেনারেল এফএম জাহিদ হোসেন প্রকল্প পরিচালক আফজাল হোসেন প্রকল্প ব্যবস্থাপক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাঈদ আহমেদ ও রেল লিংক প্রকল্পের কর্মকর্তারা একটি উন্মক্ত বগিতে চড়ে ৩২ কিলোমিটার রেল পথ পাড়ি দিয়ে পদ্মা সেতুতে পৌঁছান। রেলের ওই দুটি বগি জাজিরার পদ্মা স্টেশনে পৌঁছলে প্রকল্পে কর্মরত কর্মকর্তা ও শ্রমিকরা হাতনেড়ে কর্মকর্তাদের অভিবাদন জানান।
আরও পড়ুন: ভেজাল খাদ্যে দেশ ভরে গেছে
রেলওয়ে সূত্র জানায়, পদ্মা রেললিংক প্রকল্পের কাজ তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে। এগুলো হচ্ছে ঢাকা থেকে মাওয়া, মাওয়া থেকে ফরিদপুরের ভাঙা এবং ভাঙা থেকে যশোর। পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্ত হতে ভঙা পর্যন্ত রেল লাইন নির্মান করা হয়েছে ৩২ কিলোমিটার। এর মধ্যে ভায়া ডাক ৪ কিলোমিটার আর মাটির ওপর দিয়ে ২৮ কিলোমিটার। ভায়াডাকের ৪ কিলোমিটার রেললাইন প্রস্তুত করা হয়েছে পাথরবিহীন। আর ২৮ কিলোমিটার নির্মাণ করা হয়েছে পাথর দিয়ে। পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্ত হতে ভাঙা পর্যন্ত দুটি স্টেশন রয়েছে। স্টেশনগুলোর ওপর দিয়ে ৩২ কিলোমিটার লাইন নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। এখন স্টেশন দুইটি ও জংশনে চার লেনের লাইন বসানোর কাজ করা হচ্ছে। এছাড়া ভাঙা স্টেশনটি আধুনিকায়ন করার কাজ চলছে।
প্রকল্পের অগ্রগতি সম্পর্কে পদ্মা সেতুর রেল লিংক প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাঈদ আহমাদ ও সমন্বয়ক মেজর জেনারেল এফএম জাহিদ হোসেন জানান, সংক্রান্ত প্রতিবেদন অনুসারে ১ নভেম্বর পর্যন্ত পুরো প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি হয়েছে ৬৮ দশমিক ৬৯ শতাংশ। এর মধ্যে ঢাকা থেকে মাওয়া পর্যন্ত অংশের কাজ শেষ হয়েছে ৭০ শতাংশ। মাওয়া ভাঙ্গা অংশের কাজ হয়েছে ৮৫ দশমিক ৬৫ শতাংশ। ভাঙা হতে যশোর পর্যন্ত কাজ হয়েছে ৫৭ দশমিক ৩১ শতাংশ।
আরও পড়ুন: হত্যা মামলায় ৮ আসামির যাবজ্জীবন
আরও জানা গেছে, পরীক্ষামূলক ট্র্যাক কারটি বিশেষ আকৃতিতে নির্মিত একটি রেল ইঞ্জিন বিশেষ। এটি গ্যাংকার নামেও পরিচিত। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সিএসসি (কনট্রাকশন সুপারভিশন কনসালটেন্ট) এর সহযোগিতায় প্রকল্প বাস্তবায়নকারী বেসরকারি সংস্থা ‘ডর্প’ এটি বাস্তবায়ন করছে।
ভাঙ্গা স্টেশন ম্যানেজার মো. শাহজাহান বলেন, নতুন রেলপথ চালু হওয়ার আগে পরীক্ষামূলক এই গ্যাংকারটি মঙ্গলবার ভাঙ্গা থেকে শুরু করে পদ্মা সেতু পর্যন্ত ৩১ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে পদ্মা স্টেশন পার হয়ে পদ্মা সেতুর দক্ষিণে জাজিরার ভায়াডাক্টে পৌঁছায়।
আরও পড়ুন: বিএনপির দেশ চালানোর সুযোগ নেই
প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের ২৫ জুন ঢাকা-ভাঙ্গা রেলপথ আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করার কথা রয়েছে।
সান নিউজ/এমআর