সান নিউজ ডেস্ক: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, বর্তমানে বহুল অপব্যবহৃত মাদক ইয়াবার প্রবাহ বন্ধে টেকনাফে ২৯ জন জনবল নিয়ে একটি বিশেষ জোন গঠন করা হয়েছে। প্রতিবেশী দেশ থেকে আমাদের দেশে মাদক পাচার হয়। এ কারণে মাদকের প্রবাহ প্রতিরোধে ভারতের সঙ্গে ৭টি ও মিয়ানমারের সঙ্গে এ পর্যন্ত ৫টি দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিদেশ থেকে এসেছে এডিস মশা
রোববার (৩০ অক্টোবর) জাতীয় সংসদে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য মুজিবুল হক চুন্নুর লিখিত প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছেন। প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত জিরো টলারেন্স বাস্তবায়নে সব আইন প্রয়োগকারী সংস্থা নিরলসভাবে কাজ করছে। সে অনুযায়ী সরকার মাদকের অনুপ্রবেশ বন্ধে বহুমুখী ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। ২০২১ সালে ৯৩ হাজার ১৯০টি মামলা দায়ের পূর্বক ১ লাখ ২২ হাজার ১৫২ জন মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হয়েছে।
আরও পড়ুন: দ. কোরিয়ায় নিহত বেড়ে ১৫১
এর আগে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের অধিবেশন শুরুর পর প্রশ্নোত্তরপর্ব টেবিলে উত্থাপিত হয়।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ২০২২ সালের আগস্ট পর্যন্ত ৬৬ হাজার ৫৫৪টি মামলা দায়ের পূর্বক ৮৩ হাজার ১২৩ জন মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হয়েছে। মাদক কারবারিদের দমনে ‘মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮ (সংশোধিত, ২০২০)’ প্রণয়ন করা হয়েছে। উক্ত আইনে মাদক অপরাধের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান রয়েছে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮ (সংশোধিত, ২০২০)-এর ধারা ৬৩ অনুযায়ীও ৪টি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: দারুণ লড়াইয়ে সক্ষম টাইগাররা
কমিটির মধ্যে রয়েছে- জাতীয় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ উপদেষ্টা কমিটি, জাতীয় মাদকবিরোধী কমিটি, জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ ও প্রচার কমিটি, উপজেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ ও প্রচার কমিটি। কমিটিসমূহ সভা আহ্বানের মাধ্যমে খুব গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মাদকবিরোধী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে থাকে।
সান নিউজ/এনকে