সান নিউজ ডেস্ক: অবিশ্বাস্য হলেও সত্য। সবেমাত্র কলেজ পড়ুয়া ছাত্র রাতুল চলতি বছরেই বসবেন উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায়। আর এরই মধ্যে অনলাইনে জুয়া খেলে বনে গেছে প্রায় শতকোটি টাকার মালিক। অবশেষে ধরা পড়েছেন পুলিশের হাতে। অবৈধ পথে শতকোটি কামানো রাতুলসহ তিন জনকে গত মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।
আরও পড়ুন: আ’লীগের ওপরে মানুষের আস্থা আছে
গ্রেফতারকৃত অন্য দুই জন হলেন মুন্না ও ইয়াসিন। তাদের বুধবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সাইবার ক্রাইমের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) মনিরুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, গ্রেফতারকৃত তিন জনের বাইরে রয়েছে আরো দুই জন। এরা হলো নবাব ও মুকুল। এদের আটক করার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
জানা গেছে, বিশ্বকাপ ফুটবল-ক্রিকেট, ইউরোপা, উয়েফা, স্পেনিশ লীগ, কোপা আমেরিকা, ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ, বিপিএল এর মতো খেলার আসরকে অবৈধ আয়ের উপলক্ষ্য বানিয়ে নিয়েছেন কেউ কেউ। এদরে মধ্যে রাজধানীর সিটি কলেজের ছাত্র রাতুল অনলাইন জুয়ার সাইট চালিয়ে হাতিয়ে নিয়েছে কোটি কোটি টাকা।
আরও পড়ুন: ফের সংলাপে বসতে চায় রাশিয়া
কোটি টাকার মালিক তাই তার চলাফেরাতেও আভিজাত্যের ছোঁয়া। রয়েছে সিভিক প্রাইভেট কার, প্রিমিওর মতো গাড়ি। আর মোটরবাইক রয়েছে ডজনের বেশি। সেগুলো আর ফিফটিন তো অবশ্যই। আইফোন-১৪-এর সর্বশেষ মডেলও তার হাতে। এছাড়া গ্রামের বাড়িতে ভাইকে কিনে দিয়েছেন চারটি ভেকু।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ সূত্র জানায়, পাবনা জেলার আমিনপুর থানার বাঁশতলা গ্রামের আজিবুর রহমানের ছেলে রাতুল। সে মেলবেট নামক একটি অনলাইন জুয়ার বাংলাদেশি মূল এজেন্ট। এছাড়াও আরো কয়েকটি জুয়ার সাইট পরিচালনা করে। তার বাবা সামান্য মুহুরির কাজ করে। কিন্তু সে ৫০ লাখ টাকা দামের প্রাইভেট কারে চলাফেরা করে। তার তিনটি আর-১৫ ভার্সন মোটরবাইক আছে। যার একেকটির মূল্য প্রায় ৫ লাখ টাকা। তার বড় ভাইকে তিনটি এক্সকাভেটর (মাটি কাটা মেশিন) কিনে দিয়েছে।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গুতে আরও ৫ জনের মৃত্যু
এছাড়া সুবাস্তুতে কয়েক কোটি টাকার পার্টনারশিপে একটা বিদেশি পণ্যের শোরুমের কাজ করছে। থাকে ধানমন্ডির এক বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্টে। তার ব্যবহৃত পাঁচটি মোবাইল ফোনের একেকটির মূল্য প্রায় ২ লাখ বা তারও বেশি।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ জানায়, রাতুল সম্প্রতি আজারবাইজানের একটা জুয়া কোম্পানির ২০০ কোটি টাকা মূল্যের এজেন্সি ক্রয়ের আলোচনা করছে এবং পরীক্ষা শেষ করে আজারবাইজান যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। এতকিছু তার জুয়ার সাইট পরিচালনা করে। রাতুল তার বাবার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করত। তার বাবার কয়েকটি অ্যাকাউন্টে কয়েক কোটি টাকা লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে।
আরও পড়ুন: ২৪ ডিসেম্বর আ’লীগের ২২তম কাউন্সিল
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রাতুল তার সহযোগীদের দিয়ে এ দীর্ঘদিন ধরে এ চক্র গড়ে তোলে। অনলাইন গেইমের মাধ্যমে অন্তত কয়েক শ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। ডলার বিজনেসের মাধ্যমে এ টাকা বিদেশে পাচারও করে।
সান নিউজ/কেএমএল