সান নিউজ ডেস্ক: তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, গণতান্ত্রিক, বহুমাত্রিক, ন্যায়ভিত্তিক সমাজকে শক্তিশালী করতে হলে গণমাধ্যমের বিকাশ যেমন প্রয়োজন তেমনি গণমাধ্যমের দায়িত্বশীলতা ও প্রয়োজন। আজকাল কালো টাকার মালিকরা তাদের স্বার্থ রক্ষায় পত্রিকা বের করেন এবং সাংবাদিকরা বাধ্য হন তার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে। এটিই গণমাধ্যমের প্রতিবন্ধকতা। ব্যক্তি স্বার্থে গণমাধ্যম ব্যবহার হবে তা কাম্য নয়৷ লিখতে হবে মালিক পক্ষের বিরুদ্ধেও। তাহলে তা সঠিক হবে। এটি নিয়ে ভাবা দরকার বলে আমি মনে করি।
আরও পড়ুন: সাবধানে সবাই গাড়ি চালাব
মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) বিকেলে তথ্য ভবনে বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল ও তথ্য সম্প্রচার মন্ত্রণালয় আয়োজিত প্রেস কাউন্সিল পদক ২০২২ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে তিনি ৫ জন সাংবাদিক ও ২টি সংবাদপত্রের সম্পাদকের হাতে প্রেস কাউন্সিল পদক ২০২২ তুলে দেন।
তিনি বলেন, প্রেস কাউন্সিলের একসময় তিরস্কার করা ছাড়া আর কোনো ক্ষমতা ছিল না। কারণ তখন তিরস্কারই ছিল বড় শাস্তি। কিন্তু সমাজ যখন বস্তুবাদ ও আত্মকেন্দ্রিক হয়ে যাচ্ছে তাই সমাজে এখন আর তিরস্কার কাজ করছে না। তাই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এখন প্রেস কাউন্সিলের ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য কাজ চলছে। শিগগিরই তা বাস্তবায়ন হলে প্রেস কাউন্সিলের ক্ষমতা বাড়বে।
আরও পড়ুন: ৮০ লাখ গ্রাহক বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন
তথ্যমন্ত্রী বলেন, প্রেস কাউন্সিল পদক গণমাধ্যম ও সাংবাদিকদের উৎকর্ষতা সাধনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। এই পদকের মাধ্যমে সমগ্র দেশের গণমাধ্যম উৎসাহিত হচ্ছে। সংবাদমাধ্যম রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ ও আয়না হিসেবে কাজ করে। যারা তথ্যভিত্তিক রিপোর্ট করে তাদের পুরস্কার পাওয়া দরকার। তাহলে সমাজ রাষ্ট্র উপকৃত হবে। সার্বিকভাবে এ পুরস্কার গুলো গণমাধ্যমের উন্নয়নে কাজ করবে এবং গণমাধ্যমে আরও ভালো রিপোর্ট প্রকাশে প্রসার ঘটাবে।
হাছান মাহমুদ বলেন, যারা দায়িত্বে থাকবে তাদের বিরুদ্ধে সমালোচনা হবে এটাই স্বাভাবিক। তথ্য সত্যি হলে তা লিখতে হবে। একটি পত্রিকায় আমি পরিবেশমন্ত্রী থাকা অবস্থায় আমার কার্টুন চেপেছিল। পরিবেশ রক্ষায় তারা কাজ করেছিল। আমি সুপারিশ করে তাদের পুরস্কার দিয়েছি।
তিনি বলেন, গণমাধ্যমের পরিচয় দিয়ে কেউ যেন অপ-সাংবাদিকতা করতে না পারে সেদিকে সজাগ থাকতে হবে। ইতিমধ্যে সাংবাদিকদের তালিকা হচ্ছে। কিছু কিছু নামধারী সাংবাদিকদের জন্য পুরো সাংবাদিক সমাজের বদনাম হবে সেটি যেন না হয়। সেজন্য আমরা উদ্যোগ গ্রহণ করেছি।
আরও পড়ুন: আরও ৭৫০ হাসপাতালে ভর্তি
প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক নাসিমের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রেস কাউন্সিলের সদস্য ইকবাল সোবহান চৌধুরী। বক্তব্য রাখেন তথ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ফারুক আহমেদ, প্রেস কাউন্সিলের সদস্য ও বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি নুরুল হুদা । উপস্থিত ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি বেগম মতিয়া চৌধুরী।
সান নিউজ/এনকে