সান নিউজ ডেস্ক : ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং বাংলাদেশের উপর তাণ্ডব চালিয়ে দেশ ছাড়ার পর অভ্যন্তরীণ ও দূরপাল্লার সব ধরনের লঞ্চ চলাচল স্বাভাবিক ঘোষণা করেছে বিআইডাব্লিউটিএ। দেশের মধ্যভাগের ওপর দিয়ে বয়ে যায় ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং।
আরও পড়ুন : ১০ হাজার ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত
সোমবার (২৪ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৬টায় সিত্রাংয়ের অগ্রভাগ এবং রাত ৯টায় মূল কেন্দ্র দেশের উপকূলে আঘাত হানে। ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে বিভিন্ন জেলায় ঝড়বৃষ্টি ও দমকা বাতাস প্রবাহিত হয়েছে।
প্রতিকূল আবহাওয়ার ফলে বিভিন্ন ৬ জেলায় এখন পর্যন্ত অন্তত ১৩ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
উপকূলীয় অঞ্চল ও অন্যান্য জায়গা থেকে কুমিল্লা, নড়াইল, সিরাজগঞ্জ, ভোলা, বরগুনা ও গোপালগঞ্জের ইউএনবি সংবাদদাতাদের পাঠানো প্রতিবেদন অনুসারে, সোমবার সকাল থেকে গাছ উপড়ে যাওয়ার কারণে বেশিরভাগ হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।
আরও পড়ুন : ৮০ লাখ গ্রাহক বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন
এ ছাড়াও সিত্রাংকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট বৈরী আবহাওয়ায় ৬ লাখ মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়েছে সরকার।
প্রসঙ্গত, এর আগে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং তাণ্ডবের আশঙ্কায় সারাদেশে সব ধরনের নৌ-যান চলাচল বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ বিআইডব্লিউটিএ।
গত সোমবার (২৪ অক্টোবর) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছিলেন বিআইডব্লিউটিএ’র জনসংযোগ কর্মকর্তা মোবারক হোসেন মজুমদার।
আরও পড়ুন : তাণ্ডব চালিয়ে এলাকা ছাড়ল সিত্রাং
তখন তিনি বলেছিলেন, ‘ঘূর্ণিঝড়ের জন্য নৌ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। একইসঙ্গে সব কর্মকর্তা ও কর্মচারীর ছুটি বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়া সমুদ্রে যে সকল জাহাজ যেখানে অবস্থান করছে, সেখান থেকে না সরতে বলা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত এ সিদ্ধান্ত বলবৎ থাকবে।’
সেসময় আবহাওয়া অধিদপ্তরের সবশেষ ৮ নম্বর বুলেটিনে দেশের সমুদ্রবন্দরগুলোকে স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছিল।
আরও পড়ুন : তাণ্ডব চালিয়ে এলাকা ছাড়ল সিত্রাং
এছাড়া উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলাও হয়।
সান নিউজ/এইচএন