সান নিউজ ডেস্ক: দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. এনামুর রহমান বলেছেন, বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি আজ রোববার (২৩ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’-এ রূপ নিতে পারে। সেটি সোমবার (২৪ অক্টোবর) রাতের পর থেকে মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) সন্ধ্যার মধ্যে বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানতে পারে। সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় প্রস্তুত আছে সরকার।
আরও পড়ুন: একদিনে হাজার ছাড়াল ডেঙ্গু শনাক্ত
রোববার (২৩ অক্টোবর) সচিবালয়ে ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি বাস্তবায়ন বোর্ডের জরুরি সভায় সাংবাদিকদের এসব কথা বলেছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. এনামুর রহমান।
প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, লঘুচাপ সৃষ্টির পর থেকেই আমাদের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পূর্বাভাস সেন্টারগুলোর সঙ্গে আমরা যোগাযোগ রাখছি। সম্ভাব্য ঝুঁকিপূর্ণ জেলাগুলোকে আগাম প্রস্তুতি গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: জিএম কাদেরের চেয়ার কেউ রক্ষা করতে পারবে না
তিনি জানান, সব জেলা প্রশাসকের সঙ্গে ভার্চুয়াল মিটিং করা হয়েছে। জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির মিটিং হয়েছে। সিপিপিকে (ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি) প্রস্তুতি গ্রহণ ও সতর্কবার্তা প্রচারের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। জেলা পর্যায়ে আশ্রয়কেন্দ্রগুলো প্রস্তুত রাখতে বলা হয়েছে। আশ্রয় কেন্দ্রগুলো পরিষ্কার করা হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, আশ্রয়কেন্দ্রে মানবিক সহায়তা দিতে আমরা প্রত্যেক জেলায় ২৫ টন চাল, ৫ লাখ টাকা এবং ড্রাইকেক ও বিস্কুট সরবরাহ করেছি। যেকোনো সংখ্যক লোককে খাওয়ানোর ব্যবস্থা করা যাবে।
আরও পড়ুন: ভোটারের গোপনীয়তা নষ্ট হয়নি
‘সিত্রাং’-এর বিস্তৃতি অন্যান্য ঘূর্ণিঝড় থেকে বেশি হলেও এটি খুব বেশি শক্তিশালী হবে না বলেও জানিয়েছেন তিনি।
গত ২০ অক্টোবর সৃষ্ট লঘুচাপটি রোববার দুপুরে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে, জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, গভীর নিম্নচাপটি আজ (রোববার) সন্ধ্যার মধ্যে ঘূর্ণিঝড়ে রূপান্তরিত হওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। যদি ঘূর্ণিঝড়ে রূপান্তরিত হয়, তাহলে এর নাম হবে ‘সিত্রাং’। এটি আরও এগিয়ে উত্তর-পূর্ব দিকে মোড় নিতে পারে। যদি উত্তর-পূর্ব দিকে মোড় নেয়, তাহলে এটি কক্সবাজার থেকে সাতক্ষীরা পর্যন্ত প্রতিটি জেলাতেই আঘাত হানবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ ব্যাংকের এডি নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত
সমুদ্র বন্দরগুলোতে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত জারি করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন এনামুর রহমান।
তিনি জানান, এখন গভীর নিম্নচাপটি উত্তর-পশ্চিম দিকে যাচ্ছে। যদি দিক পরিবর্তন না করে, তাহলে এটি ভারতের ভুবনেশ্বর ও পশ্চিম বাংলায় আঘাত হানবে। এটি উত্তর-পূর্ব দিকে মোড় নিলে ৭৩০ কিলোমিটার বিস্তৃত ১৯টি উপকূলীয় জেলায় আঘাত হানতে পারে। উপকূলের আঘাত হানার সময় ঘূর্ণিঝড়ের বাতাসের গতি প্রতি ঘণ্টায় ৯০ থেকে ১১০ কিলোমিটার থাকতে পারে।
আরও পড়ুন: সাংবাদিকদের চাপ দেওয়া যাবে না
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মো. আজিজুর রহমান জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেওয়ার পর এর উত্তর-পূর্ব দিকে মোড় নেওয়ার সম্ভাবনা ৯০ থেকে ৯৫ ভাগ। সব দেশের পূর্বাভাস মডেল অনুযায়ী, এটি বাংলাদেশে আঘাত হানতে পারে।
সান নিউজ/এনকে