সান নিউজ ডেস্ক: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, মানবপাচারের অপরাধে কুয়েতে আটক বাংলাদেশের সাবেক সংসদ সদস্য শহিদ ইসলাম পাপুলের বিষয়ে ঢাকায় নিযুক্ত সে দেশের নতুন রাষ্ট্রদূত ফয়সাল মুতলাক আলাদওয়ানির সঙ্গে কোনো আলোচনা হয়নি।
আরও পড়ুন: ক্ষমতাসীনদের বিপর্যয়, ইমরানের বিজয়
সোমবার (১৭ অক্টোবর) পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাক্ষাতে আসেন কুয়েতের নতুন রাষ্ট্রদূত। রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আলোচনার বিষয়ে মোমেন বলেন, নতুন রাষ্ট্রদূত আমার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে এসেছেন। কুয়েতে নতুন সরকার হয়েছে, তা নিয়ে কথা বলেছেন। কুয়েতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক ভালো। কোভিডের সময় বাংলাদেশি বহু অবৈধ কর্মীকে বৈধতা দিয়েছে তারা। আমরা কুয়েতের বিনিয়োগ নিয়ে আলোচনা করেছি।
আরও পড়ুন: সর্বোচ্চ ৮৫৭ হাসপাতালে ভর্তি
ব্রুনাইয়ের সুলতানের ঢাকা সফরের প্রসঙ্গ টেনে মোমেন বলেন, আমাদের খুব ভালো গেছে। ব্রুনাই আমাদের যথেষ্ট এলএনজি দেবে বলে অঙ্গীকার করেছে। এটি ভালো সংবাদ এবং ব্রুনাইয়ের সুলতানের সঙ্গে খুব ভালো মিটিং হয়েছে। আমরা যা যা চেয়েছি, তিনি মোটামুটি দিতে রাজি হয়েছেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে সাংবাদিকরা জানতে চান কুয়েতের নতুন দূতের সঙ্গে দেশটিতে আটক সাবেক সংসদ পাপুলের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে কি না। জবাবে মোমেন বলেন, আমরা এসব নিয়ে কোনোদিনই আলোচনা করি না।
আরও পড়ুন: রাশিয়ার হুঁশিয়ারি
মানব ও অর্থ পাচারের অভিযোগে লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য পাপুলকে ২০২০ সালের ৬ জুন কুয়েতের বাসা থেকে আটক করা হয়। গত বছরের ২৮ জানুয়ারি তাকে সাজা দেন কুয়েতের ফৌজদারি আদালত।
বিচারক রায়ে তাকে চার বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের পাশাপাশি ১৯ লাখ কুয়েতি দিনার বা ৫৩ কোটি ১৯ লাখ ৬২ হাজার টাকা জরিমানা করেন। বাংলাদেশের ইতিহাসে কোনো সংসদ সদস্যের বিদেশে ফৌজদারি অপরাধে দণ্ডিত হওয়ার ঘটনা এটিই প্রথম। গত বছরের ২২ ফেব্রুয়ারি পাপুলের সংসদ সদস্য পদ শূন্য ঘোষণা করা হয়।
সান নিউজ/কেএমএল