সান নিউজ ডেস্ক: রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে ভাড়া নিয়ে কথা কাটাকাটির জেরে ৮ নম্বর পরিবহনের একটি চলন্ত বাস থেকে ফেলে এক যুবককে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
আরও পড়ুন: ব্রিটেনের নতুন অর্থমন্ত্রী জেরেমি হান্ট
শনিবার (১৫ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৬টায় এই ঘটনার পর গুরুতর আহত অবস্থায় আবু সায়েমকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনার পর চালক মো. শাহ আলম (৪৫) ও হেলপার মোহনকে (২২) গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছেন বিক্ষুব্ধ জনতা। পরে ওই বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে চালক ও সহকারীকে আটক করে পুলিশ।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গুতে আরও ৬ জনের মৃত্যু
যাত্রাবাড়ী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আশরাফুল ইসলাম জানান, নিহত যাত্রী মুরাদ মতিঝিল থেকে অফিস শেষ করে আট নম্বর বাসে ফেরার সময় হেলপারের সঙ্গে ভাড়া নিয়ে তর্কবিতর্ক হয়। পরে ওই যাত্রী যাত্রাবাড়ী শহীদ ফারুক সড়কে বাস থেকে নামার সময় হেলপার ধাক্কা দিলে অন্য গাড়ির চাকায় পিষ্ট হয়ে তিনি গুরুতর আহত হন। এ সময় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে এলে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় অন্য যাত্রী ও উত্তেজিত জনতা বাসের চালক ও হেলপারকে গণধোলাই দিয়ে আমাদের কাছে সোপর্দ করেছে। উত্তেজিত জনতা ঘাতক বাসটিতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। নিহত ব্যক্তি একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করতেন। আহত চালক-হেলপারকে চিকিৎসা দিয়ে থানায় পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: হামলাকারীরা কেউ রিকশাচালক নয়
নিহত মুরাদের ভাই আবু সাদাত সায়েদ বলেন, চলন্ত বাস থেকে মুরাদকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনার সময় মুরাদ ৮ নম্বর বাসে ছিলেন। মুরাদকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়ার পর পর ওই বাসের চাপায় ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান।
সান নিউজ/এমআর