সান নিউজ ডেস্ক : সরকারের গৃহীত কৃষিবান্ধব নীতি ও কার্যক্রমে দানাদার খাদ্য, মাছ, গোশত ও ডিম উৎপাদনে বাংলাদেশ আজ স্বয়ংসম্পূর্ণ এবং দুগ্ধ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতার দ্বারপ্রান্তে বলে জানিয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আরও পড়ুন : জাতীয় গ্রিডে বিপর্যয়ে জড়িতরা চিহ্নিত
শনিবার (১৫ অক্টোবর) তিনি এক বাণীতে রোববার ‘বিশ্ব খাদ্য দিবস-২০২২’ উপলক্ষে একথা বলেন।
সরকার প্রধান বলেন, ধান, পাট, আম, পেয়ারা আলু প্রভৃতি ফসল ও ফল উৎপাদনে বাংলাদেশ শীর্ষ আটটি দেশের মধ্যে রয়েছে। কৃষির উন্নয়নে এ সাফল্য সারা বিশ্বে বহুলভাবে প্রশংসিত ও নন্দিত হচ্ছে।
নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিতসহ কৃষিপণ্যের রফতানি বাড়াতে উত্তম কৃষিচর্চা নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে। একইসাথে স্থাপন করা হয়েছে অ্যাক্রিডিটেড ল্যাব ও আধুনিক প্যাকিং হাউজ।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা এবং কৃষি মন্ত্রণালয়ের যৌথ উদ্যোগে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশও ১৬ অক্টোবর ‘বিশ্ব খাদ্য দিবস’ পালিত হচ্ছে জেনে তিনি আনন্দিত।
আরও পড়ুন : হামলাকারীরা কেউ রিকশাচালক নয়
দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘কাউকে পশ্চাতে রেখে নয়। ভালো উৎপাদনে উত্তম পুষ্টি, সুরক্ষিত পরিবেশ এবং উন্নত জীবন’ বর্তমান সংকটাপূর্ণ বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে যথাযথ ও সময়োপযোগী হয়েছে বলে মনে করেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা দেশব্যাপী ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলছি। এতে কৃষিনির্ভর শিল্পের কাঁচামাল সরবরাহের স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনসহ ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। রাজধানীর সাথে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার নিরবচ্ছিন্ন, সাশ্রয়ী ও দ্রুত যোগাযোগ প্রতিষ্ঠার জন্য আমরা নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করেছি।
এ সেতুর মাধ্যমে নদীবিধৌত উপকূলীয় অঞ্চলের কৃষি ও মৎস্যসম্পদ আহরণ এবং সারাদেশে দ্রুত বাজারজাতকরণের ফলে এ অঞ্চলের কৃষি ও কৃষকের জীবনমান আরও উন্নত হবে।’
আরও পড়ুন : ১১ রিকশাচালক রিমান্ডে
তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ার অভিপ্রায়ে কৃষি ও পরিবেশের সুরক্ষাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়েছিলেন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব কর্তৃক গৃহীত কৃষি ও পরিবেশ উন্নয়ন পরিকল্পনা ও কার্যক্রমের ধারাবহিকতায় তিনি বিগত সাড়ে ১৩ বছরে কৃষিবান্ধব ও বাস্তবমুখী বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন।
কৃষির উন্নয়ন ও কৃষকের কল্যাণকে সর্বোচ্চ বিবেচনায় এনে ‘রূপকল্প-২০৪১’ এর আলোকে জাতীয় কৃষিনীতি-২০১৮, নিরাপদ খাদ্য আইন, টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট ২০৩০ এবং ডেল্টা প্ল্যান-২১০০ সহ উল্লেখযোগ্য কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন।
আরও পড়ুন : বিদেশে পাঠাতে চেয়েছিল, আমি রাজি হইনি
এছাড়া সরকার বন্যা, খরা, লবণাক্ততা সহিষ্ণু ফসলের জাত উদ্ভাবনসহ জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় ভাসমান চাষ, বৈচিত্র্যময় ফসল উৎপাদন, ট্রান্সজেনিক জাত উদ্ভাবন, পাটের জেনোম সিকোয়েন্স উন্মোচন ও মেধাস্বত্ব অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন,‘ কৃষির উন্নয়নে আমরা কৃষকদের জন্য সার, বীজসহ সকল কৃষি উপকরণের মূল্যহ্রাস, কৃষকদের সহজশর্তে ও স্বল্পসুদে ঋণ সুবিধা প্রধান, ১০ টাকায় ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলার সুযোগসহ তাদের নগদ সহায়তা প্রদান করছি।
কৃষি শিক্ষা-গবেষণা খাতে আরো বরাদ্দ বৃদ্ধি করা হয়েছে, যার ধারাবাহিকতায় খোরপোশের কৃষি আজ উৎপাদনমুখী ও বাণিজ্যিক কৃষিতে রূপান্তরিত হচ্ছে।
আরও পড়ুন : প্রধানমন্ত্রীর কোনো ফেসবুক আইডি নেই
শেখ হাসিনা বলেন, তিনি বিশ্বাস করেন সরকারের পাশাপাশি সকলের অংশগ্রহণে নিরাপদ খাদ্যের মাধ্যমে পুষ্টির চাহিদা পূরণ করে এবং ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত করে ২০৪১ সালের মধ্যে আমরা জাতির পিতার স্বপ্নের সুখী,সমৃদ্ধ ও উন্নত সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সক্ষম হবো।
‘বিশ্ব খাদ্য দিবস-২০২২’ উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সূত্র : বাসস।
সান নিউজ/এইচএন