সান নিউজ ডেস্ক : বাংলাদেশ কোনও বিদেশি সন্ত্রাসী গ্রুপকে আশ্রয় বা প্রশ্রয় দেয় না। বাংলাদেশে কোনও আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসা) নেই বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
আরও পড়ুন : সীমান্তে প্রাণহানি ভারতের জন্য লজ্জার
সোমবার (১০ অক্টোবর) বিকেলে ড. এ কে আব্দুল মোমেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তাদের (মিয়ানমার) ওখানে যথেষ্ট সংঘাত হচ্ছে। সংঘাতের সময় আমাদের দিকেও এসে গোলাগুলি করে। আমাদের এলাকার কিছু লোক আতঙ্কিত। এটা খুবই দুঃখজনক। আমরা বার বার মিয়ানমার সরকারকে বলেছি, যে এটা আইন বিরুদ্ধ। তারা সবসময় আমাদের আশ্বাস দিয়ে যায়।
আরও পড়ুন : ইউক্রেন যুদ্ধ উন্নয়নের গতি শ্লথ করেছে
তবে অনেক কিছু হয়ত তাদেরও নিয়ন্ত্রণের বাইরে। আমাদের দেশে কোনও আরসা নেই। আমরা এ ধরনের গ্রুপকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দিই না।
সীমান্তে চলমান পরিস্থিতি নিয়ে ড. মোমেন বলেন, মিয়ানমার ও রোহিঙ্গা নিয়ে আমরা যথেষ্ট চিন্তিত।
গত মাসে সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে ঢাকায় নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত লি জিমিংয়ের সঙ্গে বসেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা। সে সময় চীনা রাষ্ট্রদূত বলেছিলেন, এ সমস্যার কথা বেইজিংয়ে জানাবেন।
আরও পড়ুন : জন্মের পরই দেওয়া হবে এনআইডি
এ বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের বিশ্বাস তারা জানিয়েছে। জানালেই যে তারা ম্যানেজ করতে পারবে…ওখানে এখন জটিল পরিস্থিতি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী মিয়ানমার পরিস্থিতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর দিক-নির্দেশনা প্রসঙ্গে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় আমরা কাজ করি। আমরা এমন কোনও কাজ করতে চাই না যাতে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতিতে পড়তে হয়। এ কারণে আমরা ভারসাম্যপূর্ণ কূটনীতি করি।
এসময় তিনি জানান, সোমবার ব্রিটিশ নতুন পররাষ্ট্র-সচিব জেমস ক্লেভারলির সঙ্গে তার মিয়ানমার পরিস্থিতি ও রোহিঙ্গা ইস্যুতে আলোচনা হয়েছে।
আরও পড়ুন : কিয়েভে জার্মান দূতাবাসে হামলা
ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, আমি বলেছি আপনারা রোহিঙ্গাদের জন্য সাহায্য করছেন, এটা যথেষ্ট নয়। এখন পর্যন্ত একটা রোহিঙ্গাও ফেরত যায়নি। আপনাদের আরও ভূমিকা রাখতে হবে। তাকে বলেছি, বিভিন্ন তথ্যের ভিত্তিতে জানা গেছে; আপনারা মিয়ানমারে যথেষ্ট পরিমাণ বিনিয়োগ করেছেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আপনারা মিয়ানমারের কয়েকজন জেনারেলের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন। কিন্তু আপনাদের বিনিয়োগ মিয়ানমারে বেড়েছে, এটি দুঃখজনক। এটি গ্রহণযোগ্য নয়। এতে মিয়ানমারের ওপর চাপ প্রয়োগ হয় না।
সান নিউজ/এইচএন