সান নিউজ ডেস্ক : সাপ্তাহিক ও ঈদে মিলাদুন্নবী মিলিয়ে টানা ছুটির কয়েক দিনের ছুটিতে লাখো পর্যটকদের ঢল নেমেছে সৈকত নগরী কক্সবাজারে। ইতিমধ্যে সাগর পাড়ের হোটেল-মোটেলগুলোর ৭০-৮০ ভাগ কক্ষ বুকিং হয়ে গেছে। তবে পর্যটকের ভিড় দেখে কক্সবাজারের বেশ কিছু হোটেল-মোটেলে আবারো অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ উঠেছে।
আরও পড়ুন: আগামী বছর জাতীয় সংসদ নির্বাচন
বিভিন্ন আবাসিক হোটেল-মোটেল ও গেস্ট হাউজ শতভাগ বুকিং সম্পন্ন হয়েছে। তবে যারা অগ্রিম বুকিং দেননি, তারা পড়েছেন বিপাকে। বর্তমানে চড়া দামেও পাওয়া যাচ্ছে না হোটেল-মোটেলের রুম। তাই অনেককেই সড়কের ফুটপাত, সৈকত বা যাত্রীবাহী বাসে রাত কাটাতে হচ্ছে। শুক্রবার (৭ অক্টোবর) সরেজমিনে ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্র বলেন, বন্ধুদের সঙ্গে কক্সবাজারে বেড়াতে এসেছি। বিকেল থেকে হোটেলের রুম খুঁজছি। কিন্তু এখনো পাইনি। এদিকে সুযোগ পেয়ে খাবার হোটেলগুলোও খাবারের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। অটোরিকশা চালকরাও বাড়তি ভাড়া নিচ্ছেন।
নোয়াখালী থেকে আসা আব্দুল হাকিম নামে এক পর্যটক জানান, শুক্রবার সকালে কক্সবাজার নেমেছি। অগ্রিম বুকিং ছিল না। সারাদিন অনেকগুলো হোটেল খুঁজেও রুম পাইনি। এখন কী করব, বুঝতে পারছি না।
আরও পড়ুন: বাসে আগুন, নিহত ১০
দিনার মাশফিক নামে এক পর্যটক বলেন, ছুটি পেয়ে এবারই প্রথম ফেনী থেকে কক্সবাজার এসেছি। কিন্তু অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে ঢাকার মতো ভিড়। প্রথম দিন ১৫০০ টাকার রুম ৩০০০ দিয়ে নিয়েছি। এভাবেই চললে কক্সবাজারে পর্যটক আসবে না।
মোটেল গেস্ট হাউস অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কলিম উল্লাহ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আমাদের হোটেলগুলো শতভাগ বুক হয়ে গেছে। অনেক পর্যটক রুমের জন্য এসে ঘুরে যাচ্ছেন। আবার অনেকেই বাস কাউন্টারের বারান্দায় রাত্রি যাপনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
তবে পর্যটকদের রুম না পাওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন কলাতলী মেরিন ড্রাইভ হোটেল রিসোর্ট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মুকিম খান। তিনি বলেন, আমাদের অনেক হোটেলে এখনও রুম খালি আছে। সায়মন, ওশান প্যারাডাইসসহ তারকা মানের হোটেলে খুঁজলে তো আর কেউ রুম পাবে না।
কক্সবাজার পর্যটক সেলের ম্যাজিস্ট্রেট মাসুম বিল্লা বলেন, পর্যটকদের নিরাপত্তার জন্য কক্সবাজার জেলা প্রশাসন সব সময় প্রস্তুত। আমরা গভীর রাতেও মাঠে রয়েছি।
আরও পড়ুন: সহকর্মীকে গণধর্ষণ, গ্রেফতার ২
ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজারের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মিজানুজ্জামান চৌধুরী গণমাধ্যমকে বলেন, পর্যটকদের নিরাপত্তায় সৈকতসহ বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশি তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে। এ ছাড়া বিশেষ মোবাইল টিম কাজ করছে।
সান নিউজ/এসআই