নিনা আফরিন,পটুয়াখালী : বৃহস্পতিবার (৭ অক্টোবর) থেকে শুরু হচ্ছে ইলিশ শিকারে ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা। বৈরী আবহাওয়ার রেশ কাটতে না কাটতেই এ নিষেধাজ্ঞায় হতাশা নেমে এসেছে জেলে পল্লীতে।
আরও পড়ুন : জাতিসংঘ অধিবেশনে অংশগ্রহণ সফল
জেলেদের দাবী প্রতিকুল আবহাওয়ার কারণে ঘাটে নোঙর করে থাকতে হয়েছে। এর মধ্যেই আবার আসছে নিষেধাজ্ঞা। যার কারণে বিপর্য্স্ত জেলে পেশার সাথে সংশ্লিষ্টরা।
এদিকে নিষেধাজ্ঞার সময়ে সংসারের ব্যয়ভার বহন ও দাদনের ঋণ পরিশোধ নিয়ে দুশ্চিন্তায় সাগর উপকূলের হাজার হাজার জেলে।
রাঙ্গাবালী উপজেলার সগির মাঝি (৫৩) জানান, খারাপ আবহাওয়ার রেশ কাটতে না কাটতেই আবারও শুরু হচ্ছে মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা।
আরও পড়ুন : বাস-মাইক্রোবাস সংঘর্ষে নিহত ৬
ইলিশের প্রজনন বৃদ্ধির লক্ষ্যে নদী ও সমুদ্রে সব ধরণের মাছ শিকারের ওপর ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সরকার। ৭ অক্টোবর থেকে ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত এ নিষেধাজ্ঞা কার্য্কর থাকবে।
২৩ জুলাই ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার পর হতে গত দুই মাসের সিংহভাগ সময়ই বৈরী আবহাওয়া ছিল। সমুদ্র উত্তাল থাকায় দুই মাসে দুই-তিন সপ্তাহ মাছ শিকার করতে পারেনি। এরমধ্যেই আবার শুরু হয়েছে নিষেধাজ্ঞা।
এতে বেকার সময় কাটাতে হবে সাগর উপকূলের জেলেদের। তাই সংসারের ব্যয়ভার বহন ও দাদনের ঋণ পরিশোধ নিয়ে চরম দুশ্চিন্তা পরেছেন তারা।
আরও পড়ুন : শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্রে গুলি, নিহত ৩৪
তিনি জানান, নিষেধাজ্ঞার সময়ে সরকারের দেয়া খাদ্য সহায়তা দিয়ে সংসার চালানো সম্ভব নয়। মৎস্য ব্যবসায়ী জুয়েল মীর (৪৫) জানান নিষেধাজ্ঞার সময়ে বাংলাদেশী জেলেরা মাছ ধরা থেকে বিরত থাকলেও ভারতীয় জেলেরা বাংলাদেশের জল সীমায় প্রবেশ করে মাছ শিকার করে। তাই দুদেশের সমন্বয়ে নিষেধাজ্ঞার সময়কাল নির্ধারণের দাবী তাদের।
আরও পড়ুন : অনৈতিক কাজে বাধ্য করার প্রমাণ মেলেনি
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আজহারুল ইসলাম জানান, নিষেধাজ্ঞার এই সময়ে বেকার জেলেদেরকে খাদ্য সহায়তা হিসেবে ২০ কেজি করে চাল দেয়া হবে। সেই সাথে নিষেধাজ্ঞার সময়ে যাতে কেউ মাছ শিকার করতে না পারে সে জন্য প্রচার-প্রচারণা চালানো হচ্ছ পটুয়াখালী জেলায় নিবন্ধিত জেলের সংখ্যা প্রায় ৭৯ হাজার। এর বাইরেও লক্ষাধিক জেলে মাছ শিকার করে জিবিকা নির্বাহ করেন বলে জানান তিনি।
সান নিউজ/এইচএন