সান নিউজ ডেস্ক : জাতীয় পাওয়ার গ্রিডে বিপর্যয়ের কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত শুরু করেছে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশের (পিজিসিবি) তদন্ত কমিটি।
আরও পড়ুন : মিয়ানমারের সাহস নেই কিছু করার
মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) দুপুর ২টা ৪ মিনিট থেকে জাতীয় বিদ্যুৎ সঞ্চালন গ্রিড বিপর্যয় হওয়ায় বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের কয়েকটি জেলা ছাড়া সারাদেশে ব্ল্যাকআউট সৃষ্টি হয়।
বার্তাসংস্থা ইউএনবিকে তদন্ত সংস্থার প্রধান ও পিজিসিবির নির্বাহী পরিচালক (পিএন্ড ডি) ইয়াকুব এলাহী চৌধুরী বলেন, ‘আমরা আজ (বুধবার) সকালে গ্রিড বিপর্যয়ের সম্ভাব্য কারণ খুঁজে বের করার জন্য আমাদের তদন্ত শুরু করেছি।’
সংস্থাটি এর আগে দেশব্যাপী গ্রিড বিপর্যয়ের কারণ অনুসন্ধানের জন্য পিজিসিবির নির্বাহী পরিচালক ইয়াকুব এলাহী চৌধুরীর নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে।
আরও পড়ুন : রসায়নে নোবেল পেলেন ৩ বিজ্ঞানী
বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ড (বিপিডিবি), বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ও অন্যান্য বিদ্যুৎ খাতের সংস্থার প্রতিনিধিরা কমিটির মধ্যে রয়েছেন।
এছাড়া একজন অভিজ্ঞ ব্যক্তি যিনি স্থানীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে গ্রিড সিস্টেমের পরামর্শক হিসেবে কাজ করেছেন তাকে কমিটিতে অতিরিক্ত সদস্য হিসেবে যুক্ত করা হয়।
পিজিসিবির নির্বাহী পরিচালক জানান, কমিটি গ্রিড ভেঙে পড়ার কারণ চিহ্নিত করতে সাবস্টেশন ও পাওয়ার স্টেশন এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক সুযোগ-সুবিধা পরিদর্শন করবে।
আরও পড়ুন : সাজেকে যানচলাচল স্বাভাবিক
সরকারি সূত্র জানায়, তদন্ত কমিটিকে তিন দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার জন্য বলা হয়েছে।
ইউএনবিকে ইয়াকুব এলাহী বলেন, ‘এটির উপসংহারে পৌঁছাতে আরো সময় লাগতে পারে, কারণ এতে গ্রিড সিস্টেমের অনেক প্রযুক্তিগত সমস্যা জড়িত।’
এদিকে, গ্রিড বিপর্যয়ের কারণ চিহ্নিত করতে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়কে আরও দুটি তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন এবং ভবিষ্যতে যেকোনো বিপর্যয় এড়াতে সুপারিশ করেছেন প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
আরও পড়ুন : তুষারধসে ১০ পর্বতারোহী নিহত
বিদ্যুৎ বিভাগের এক কর্মকর্তা জানান ওই দুটি কমিটি এখনো গঠিত হয়নি ।
পিজিসিবি ও বিপিডিবি কর্মকর্তারা মনে করেন, মঙ্গলবারের গ্রিড বিপর্যয় আশুগঞ্জ-সিরাজগঞ্জ আন্তঃসংযোগ ট্রান্সমিশন লাইনের কোথাও থেকে শুরু হয়েছিল যার ফলে সারাদেশে বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো ব্যাপকভাবে বন্ধ হয়ে যায়।
পিজিসিবি তিন ঘণ্টার নিরলস প্রচেষ্টার পর প্রথমে কল্যাণপুর গ্রিড সাব-স্টেশনে বিদ্যুৎ চালু করতে সফল হয় এবং পরে বিকাল ৫টায় রাষ্ট্রপতির সরকারি বাসভবন বঙ্গভবন ও প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু করে।
আরও পড়ুন : ইলন মাস্কই কিনছেন টুইটার
ধীরে ধীরে এলাকার অন্যান্য অংশে বিদ্যুৎ সরবরাহ পুনরুদ্ধার করা হয় এবং রাত সাড়ে ১০টার মধ্যে সারাদেশে বিদ্যুৎ স্বাভাবিক হয়।
আবহাওয়া গরম না থাকায় মঙ্গলবার দেশের বিদ্যুৎ সরবরাহের চাহিদা তুলনামূলকভাবে কম ছিল বলে জানান পিজিসিবি কর্মকর্তারা।
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের ১ নভেম্বর বাংলাদেশের জাতীয় পাওয়ার গ্রিডে বিপর্যয়ের সবচেয়ে বড় ঘটনাটি ঘটেছিল। ওই সময় দেশজুড়ে ১৭ ঘণ্টা বিদ্যুৎ ছিলনা। সূত্র : ইউএনবি।
সান নিউজ/এইচএন