নিজস্ব প্রতিবেদক:
টানা তৃতীয় দিনের ভারী বৃষ্টিতে আজও ডুবেছে ঢাকা। আর গোড়ালি থেকে হাঁটু সমান পানিতে ভাসতে হচ্ছে রাজধানীবাসীদের।
বুধবার (২২ জুলাই) সকাল ৯টা পর্যন্ত ৪০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
এতেই সকাল থেকে রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক, অলিগলি এমনকি প্রধান সড়কের ভেতরের এলাকাগুলোতেও সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা। ফলে চলাচলরত যান ও পথচারী ও অফিসগামী মানুষের ভোগান্তি বেড়েছে চরমে।
সকাল থেকে রাজধানীর এলাকাগুলোর মধ্যে সরেজমিনে মিরপুর-১ নম্বরে চাইনিজের সামনে, মিরপুর-১৪ নম্বর, মিরপুর-২ নম্বরে কমার্স কলেজ সড়কে, শেওড়াপাড়া ও কাজীপাড়ায়, মগবাজারের মধুবাগ, গ্রিনরোড, কারওয়ানবাজার, মিরপুর-১০ থেকে খামারবাড়ি সড়কের বিভিন্ন জায়গায়, ঝিগাতলা, মোহাম্মদপুর এবং মিরপুর রোডের ধানমন্ডি-২৭ নম্বর মোড়ে পানি জমে থাকতে দেখা যায়। এসব এলাকায় কোথাও গোড়ালি আবার কোথাও হাঁটু সমান পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।
জলাবদ্ধতার কারণে বুধবারও ভোগান্তি পোহাতে হয় রাজধানীবাসীদের। সাধারণ পথচারীদের পাশাপাশি গণপরিবহনের যাত্রী এবং ব্যক্তি মালিকানার যানবাহন চালকদেরও বিড়ম্বনার অন্ত ছিল না।
শেওড়াপাড়া থেকে ধানমন্ডিতে অফিসের উদ্দেশ্যে প্রায় দুইঘণ্টা দেরিতে যাত্রা করতে হয় বেসরকারি চাকরিজীবী অনির্বান দাসকে। তিনি বলেন, প্রধান সড়ক তো পরে, বাসার সামনের সড়কেই হাঁটু পানি জমে আছে। এর মধ্যে সড়কে চলছে সংস্কারের কাজ। কোথায় গর্ত কে জানে! তাই বাসা থেকে সকাল সকাল বেরোতে পারিনি। এখন বের হয়েছি, এখন আবার সড়কে জ্যাম। কখন অফিসে যেতে পারবো বুঝতেছি না।
এদিকে গাড়ির ইঞ্জিনে পানি ঢুকে বন্ধ হয়ে যাওয়ার ভয়ে আছেন ব্যক্তিগত যানবাহনের মালিক ও চালকেরা; বিশেষ করে প্রাইভেটকার চালকেরা।
পান্থপথ এলাকার বাসিন্দা ও ব্যবসায়ী মোজাহিদুল ইসলাম ভয়ে ভয়ে বের হয়েছেন গাড়ি নিয়ে। বার বার চালককে সতর্ক করছেন পানি এড়িয়ে চলতে।
মোজাহিদুল ইসলাম বলেন, 'পরশু দিন ইঞ্জিনে পানি ঢুকে গাড়ি বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। মঙ্গলবার (২১ জুলাই) কোনোমতে গ্যারেজে নিয়ে ঠিক করা হয়েছে। গাড়ি ফের সচল করেছি। পারলে তো বাসা থেকে বেরই হতাম না। কিন্তু আমার ঠিকাদারি ব্যবসা। বেরোতেই হয়। বৃষ্টি হচ্ছে, তাই কোনো মোটরসাইকেলেও যেতে পারছি না। গণপরিবহনের যে অবস্থা তার থেকে না তাকানোই ভালো। তাই গাড়ি নিয়েই আবার বের হলাম। কিন্তু ভয় হচ্ছে কখন আবার বন্ধ হয়ে যায়।'
এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, আরও দুই-তিন অব্যাহত থাকতে পারে এই বৃষ্টিপাত। রাজধানীবাসীদের আশঙ্কা, ততদিন জলাবদ্ধতার এই ভোগান্তি পোহাতে হবে তাদের।
সান নিউজ/ আরএইচ