সান নিউজ ডেস্ক: বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপটি নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। একই সঙ্গে পূর্ণিমার প্রভাব থাকায় উপকূলীয় ১৫ জেলায় ১ থেকে ২ ফুট অধিক উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসের শঙ্কা রয়েছে।
আরও পড়ুন: বিদেশে আ’লীগের বন্ধু আছে
রোববার (১১ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের উপপরিচালক ছানাউল হক মন্ডল গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, পূর্ণিমা ও বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্যের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোর নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ১ থেকে ২ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।
আরও পড়ুন: অল্পের জন্য বেঁচে গেলেন ইমরান খান
পশ্চিম মধ্য-বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হয়ে বর্তমানে নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। বর্তমানে এটি উপকূলীয় উড়িষ্যা ও তৎসংলগ্ন উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর এবং পশ্চিম মধ্য-বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আরও পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় গভীর সঞ্চরণশীল মেঘমালার সৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। সমুদ্র বন্দর, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: বাস-তেল ট্যাংকার সংঘর্ষে নিহত ১৮
ছানাউল হক আর বলেন, এই নিম্নচাপের ফলে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
এছাড়া উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে তাদেরকে গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।
সান নিউজ/এনকে