সান নিউজ ডেস্ক: কেরানীগঞ্জের জিনজিরায় একটি বাসায় গ্যাসের চুলার লিকেজ থেকে সৃষ্ট আগুনে শিশুসহ একই পরিবারের ছয়জন দগ্ধ হন। দগ্ধদের মধ্যে একে একে পাঁচজনই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। বেঁচে ছিল শুধুই মো. ইয়াছিন (১২) নামে এক কিশোর। সেও আজ সকালে মারা গেছেন। ফলে এ নিয়ে দগ্ধদের মধ্যে কেউই বেঁচে রইল না।
আরও পড়ুন: বিশ্বজুড়ে বেড়েছে শনাক্ত ও মৃত্যু
বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর) সকালে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইয়াছিনের মৃত্যু হয়।
ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. আইউব হোসেন বলেন, দগ্ধদের মধ্যে সর্বশেষ মারা গেলো ইয়াছিন। আজ সকাল পৌনে ৮টার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়। তার শরীরের ৪০ শতাংশ দগ্ধ ছিল।
আরও পড়ুন: ভিয়েতনামে বারে অগ্নিকাণ্ড, নিহত ৩২
এর আগে মৃত অন্য পাঁচজন হলেন- মরিয়ম (৮), শাহাদাত হোসেন (২৫), বেগম (৬০), ইদুনী বেগম (৫০), সোনিয়া আক্তার (২৬)।
মৃত ইয়াছিনের বাবার নাম আব্দুর রশিদ। তিনি পেশায় রিকশাচালক। ইয়াছিনের আরেক ভাই রয়েছে। আর্থিক অনটনের সংসারে সন্তান দগ্ধ হওয়ার পর চিকিৎসা খরচ টানতে হিমশিম অবস্থা রশিদের। তবে শতচেষ্টায়ও সন্তানকে বাঁচাতে পারলেন না রিকশাচালক আব্দুর রশিদ।
আরও পড়ুন: বাস-ট্রাক সংঘর্ষে নিহত ৩
তিনি জানান, ‘আমি রিকশা চালিয়ে খাই। অনেক কষ্টে ছেলে দুটোকে বড় করছি। ও (ইয়াছিন) আজকে আমাদের রেখে চলে গেলো। পুড়ে যাওয়ার পর অনেক পয়সা খরচ হয়েছে। তবুও সন্তানটাকে বাঁচাতে পারলাম না।’
ইয়াছিনের পরিবার ও ইদুনী বেগমের স্বামী মোক্তার হোসেন বলেন, এ ঘটনায় তারা চরম আর্থিক অনটনে পড়েছেন। সরকারি বা ব্যক্তিপর্যায়ে কেউ তাদের সহায়তা করলে তারা কৃতজ্ঞ থাকবেন।
সান নিউজ/এমআর