নিজস্ব প্রতিবেদক :
হিমালয়ের পাদদেশে প্রবল বর্ষণের কারণে এর প্রভাব পড়েছে দেশের উত্তর ও মধ্যাঞ্চলে। এর ফলে বন্যার সৃষ্টি হয়েছে। হিমালয়ে গত চার দিনের বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে ৯০০ মিলিমিটার।
এদিকে, উজান থেকে নেমে আসা পানিতে নতুন করে ফুঁসে উঠছে পদ্মা। এছাড়া টানা বর্ষণ ও উজানের ঢলে যমুনাও এখন উত্তাল।
এছাড়া ব্রহ্মপুত্র, ধরলা ও ঘাঘট নদীর পানি বাড়ছেই। সব মিলিয়ে হিমালয়ে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে বন্যায় ভাসতে পারে রাজধানী ঢাকাও, এমনটাই আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
এরইমধ্যে রাজবাড়ী, মুন্সিগঞ্জ, ফরিদপুর, মাদারীপুর, শরীয়তপুর ও চাঁদপুর জেলার নিম্নাঞ্চলে বন্যায় প্লাবিত হয়েছে।
চলমান বন্যা পরিস্থিতি আরো দুই-তিন দিন অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।
এদিকে মঙ্গলবার থেকে ভারতের, আসাম, হিমালয়, পশ্চিমবঙ্গ, উত্তর ভারতে টানা চার দিন ৪০০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এর ফলে দেশের উত্তরাঞ্চল, উত্তর-পূর্বাঞ্চল, মধ্যাঞ্চলে বন্যার আশঙ্কা রয়েছে।
সামগ্রিক অবস্থায় বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সার্বক্ষণিক সব বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের উপর নজরদারি করছে। যেকোনো পরিস্থিতিতে তাৎক্ষণিকভাবে মোকাবিলার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়ে মাঠ পর্যায়ে প্রস্তুতি রেখেছে সরকার।
এদিকে, ১৯৯০ সালের পর লালমনিরহাটের হাতীবান্ধার তিস্তা নদীর তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার অতীতের ৩০ বছরের রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। এতে তিস্তা অববাহিকায় বন্যার আশঙ্কা করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
তিস্তা ব্যারাজ ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম জানান, ব্যারাজের উজান ও ভাটিতে বিশেষ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের লোকজন সার্বক্ষণিক মনিটরিং করছে।
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মো. আবু জাফর বলেন, পানিবন্দি এলাকার মানুষের জন্য ২৪৩ মেট্রিক টন জিআর চাল ও নগদ ১৭ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। সেগুলো বিতরণের কাজ অব্যাহত আছে।
সান নিউজ/সালি