সান নিউজ ডেস্ক: আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, গুরুত্বপূর্ণ আসনে থেকে অনেক সতর্কভাবে কথা বলা উচিত। রোববার (২১ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর নিবন্ধন অধিদপ্তরে শোক দিবস উপলক্ষে অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: মেসিকে বিয়ে করতে চান পিপো
এর আগে গত বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামে জন্মাষ্টমীর অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ভারতে গিয়ে বর্তমান সরকারকে টিকিয়ে রাখতে ‘যা যা করা দরকার’, তা-ই করার অনুরোধ করেছি। পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এ বক্তব্যে দেশের রাজনীতিতেও বিতর্ক তৈরি হয়েছে। বিভিন্ন দলের পক্ষ থেকে কড়া প্রতিক্রিয়া ও ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়েছে। অনেকে বলেছেন, এটা দেশের ভাবমূর্তিও ক্ষুণ্ন করেছে।
এ ব্যাপারে আইনমন্ত্রী বলেন, পার্টির সেক্রেটারি ওবায়দুল কাদের ইতোমধ্যে বলেছেন, এটা দলেরও কথা নয়, সরকারেরও কথা নয়, আমাদেরও কথা নয়। এটা হয়তোবা উনার ব্যক্তিগত কথা। সেক্ষেত্রে আমি সব সময় বলে থাকি, গুরুত্বপূর্ণ আসনে থেকে অনেক সতর্কভাবে কথা বলা উচিত। আর আমার মনে হয় আপনারা উনাকে জিজ্ঞাসা করেন, উনি যদি এটা বলে থাকেন, উনি কী বোঝাতে চেয়েছেন?
আরও পড়ুন: যানজটে নগরবাসীর নাভিশ্বাস
আনিসুল হক বলেন, অবশ্যই সরকারের মন্ত্রীদের সঙ্গে আলোচনা না করে যদি কেউ কথা বলেন, আমিও যদি বলি মন্ত্রী হিসেবে, তাহলে সেটা সরকারের কথা হয় না। সেটা ব্যক্তিগত কথা হয়। তো তিনি এই কথাটা তো আমাদের সঙ্গে আলাপ করেননি এবং আমাদের দলের সেক্রেটারি সেটা পরিষ্কার করে দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, এটা সরকারের কথা নয়, জনগণের কথা নয়। আমি সেই কথার সঙ্গে সুর মিলিয়ে বলবো এটা উনার ব্যক্তিগত কথা।
এর আগে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত আলোচনা ও দোয়া মাহফিলে সভাপতির বক্তব্যে আইনমন্ত্রী বলেন, তৎকালীন পূর্ব বাংলার অনেক বড় বড় নেতা পাকিস্তানের সামরিক জান্তাদের সাথে আপস করলেও বঙ্গবন্ধু কখনও আপস করেননি। এজন্য পাকিস্তানের সামরিক শাসকরা বঙ্গবন্ধুকে ভয় পেতেন, তাঁকে গুণতেন। বঙ্গবন্ধুকে ভয় পাওয়ার যুক্তিও ছিল।
আরও পড়ুন: পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে পদত্যাগ করতে লিগ্যাল নোটিশ
আনিসুল হক আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু সবসময় নিয়মতান্ত্রিক রাজনীতি করতেন। তিনি গেরিলা যুদ্ধে বিশ্বাস করতেন না। ষড়যন্ত্রের রাজনীতিতে বিশ্বাস করতেন না। তিনি সবসময় জনগণকে সাথে নিয়ে রাজনৈতিক আন্দোলনে বিশ্বাসী ছিলেন। কারণ তাঁর ছিল প্রবল দেশপ্রেম ও জনগণের প্রতি গভীর ভালোবাসা।
আইনমন্ত্রী দুঃখ করে বলেন, পাকিস্তানের সামরিক জান্তারা যাকে হত্যা করার সাহস পায়নি, সেই বঙ্গবন্ধুকে আমরা হত্যা করেছি। এই কলঙ্ক আমরা কোনোদিন মোচন করতে পারব না।
আরও পড়ুন: পায়ে ধরে কাউকে নির্বাচনে আনবে না ইসি
আইনমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতার আদর্শ, দেশপ্রেম, মানুষের প্রতি গভীর ভালোবাসা ও আত্ম মর্যাদার চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে আমরা বর্তমানে কঠিন সময় পার করছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এই কঠিন সময় অবশ্যই আমরা মোকাবিলা করতে পারব ইনশাআল্লাহ। তাঁর নেতৃত্বে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে পারব।
সান নিউজ/কেএমএল