নিজস্ব প্রতিবেদক:
জুন মাসের বিল লেট ফি বা বিলম্ব মাশুল ছাড়া আগামী ৩১ জুলাই পর্যন্ত জমা নেয়ার নির্দেশ জারি করেছে বিইআরসি। ফলে এমাসেও গ্রাহকরা বিলম্ব মাশুল ছাড়াই বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করতে পারবেন।
বৃহস্পতিবার (১৬ জুলাই) কমিশনের চেয়ারম্যানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল সংবাদমাধ্যমকে এটি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, গ্রাহকদের সুবিধার কথা বিবেচনা করে বিলম্ব মাশুল মওকুফ করা হলো। বিকেলেই সিদ্ধান্ত হয়েছে। আমরা আদেশ জারি করেছি। দ্রুত প্রেস রিলিজ দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, আমরা মার্চ ও এপ্রিল মাসের বিলম্ব মাশুল মওকুফ করেছিলাম। এরপর মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে গ্রাহকদের ভোগান্তি কমাতে তা বাড়িয়ে ৩০ জুন করা হয়। অর্থাৎ মে মাসের বিল জরিমানা ছাড়া দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। এবার জুন মাসের বিলের ক্ষেত্রেও এই ছাড় দেওয়া হবে। সে হিসেবে গ্রাহক ৩১ জুলাই পযন্ত জরিমানা ছাড়া বিল দিতে পারবেন।
এর আগে গত ৮ জুলাই এই বিলম্ব মাশুল মওকুফের জন্য কমিশনের কাছে চিঠি দেয় বিদ্যুৎ বিভাগ।
চিঠিতে বলা হয়, অতিরিক্ত বিলের ভোগান্তির কারণে অনেকেই জুনের মধ্যে তাদের সব বিল পরিশোধ করতে পারেননি। ফলে গ্রাহকদের জন্য ৩১ জুলাই পযন্ত বিলম্ব মাশুল মওকুফের জন্য বিইআরসিকে জানিয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ।
সে সময় কমিশন জানায়, লাইসেন্সকারী বিতরণ কোম্পানিগুলো আবেদন করলেই তারা মওকুফ করার আদেশ দেবেন। এরপর বিতরণ কোম্পানিগুলোও আবেদন করে একে একে। তাদের আবেদনের উপর ভিত্তি করে আজ আদেশ দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিদ্যুৎ বিভাগের একজন ঊধ্বর্তন কর্মকর্তা জানান, আমরাও অনেক অভিযোগ পাচ্ছি। বিতরণ কোম্পানিগুলোকে দ্রুত অতিরিক্ত বিল যাদের এসেছে তাদের বিল ঠিক করে দিতে বলা হয়েছে। এই কারণে অনেক গ্রাহক এখনো সব বিল দিতে পারেননি। তাদের কথা বিবেচনা করে এই সময় বাড়ানো। ৩১ জুলাই পর্যন্ত ছাড় পাবেন। যদিও ৩১ জুলাই শুক্রবার। সে হিসেবে ৩০ জুলাই পর্যন্ত ব্যাংকে বিল বিলম্ব মাশুল ছাড়া জমা দিতে পারবেন। এরপর কেউ চাইলে পরদিন অনলাইনে বিকাশ বা অন্য অন্য মাধ্যমেও বিল পরিশোধের সুযোগ পাবেন।
প্রসঙ্গত, গত ২২ মার্চ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আইরিন পারভিন স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে জানানো হয় যে, ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিল পযন্ত বিলম্ব মাশুল প্রয়োজন হবে না। এমনকি গ্রাহক মে মাসের বিলম্ব মাশুল ছাড়াই বিল পরিশোধ করত পারবেন।