সান নিউজ ডেস্ক: পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর প্রথম মাসে পদ্মা সেতু দিয়ে ছয় লাখের বেশি যানবাহন পারাপার হয়েছে। আর এসব যানবাহন থেকে টোল আদায় হয়েছে ৭৬ কোটি টাকার বেশি। অর্থাৎ দিনে আয় হয়েছে গড়ে ২ কোটি ৫৩ লাখ টাকার বেশি। মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) সেতু কর্তৃপক্ষ এ তথ্য জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী আটক
জানা গেছে, গত ২৫ জুন পদ্মা সেতু চালুর পর ২৬ জুন থেকে স্বাভাবিক যানবাহন চলাচল শুরু করে। প্রথম দিনেই এযাবৎ পর্যন্ত এক দিনে সর্বোচ্চ ৫১ হাজার ৩১৬টি যানবাহন সেতু পারাপার হয়। এর ৭৫ শতাংশই ছিল মোটরসাইকেল। কিন্তু ওই দিন রাতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার পর সেতু দিয়ে এই বাহন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরদিন যানবাহন চলাচলের সংখ্যা ২৩ হাজারের কাছাকাছি নেমে আসে। মোটরসাইকেল বন্ধের পর সর্বাধিক ৩২ হাজার ৪৪৬টি যানবাহন চলে ১১ জুলাই, পবিত্র ঈদুল আজহার পরদিন।
পূর্বাভাস অনুসারে, পদ্মা সেতু থেকে প্রথম বছর আয় হবে ১ হাজার ৪৩০ কোটি টাকা। বর্তমানে হারে টোল আদায় হলেও আয় দাঁড়াবে ৯০০ কোটি টাকার মতো। পূর্বাভাস বলছে, ৩৫ বছরে এই সেতু থেকে আয় হওয়ার কথা ৯০ হাজার কোটি টাকার বেশি। তবে সব টাকা সেতুর নির্মাণ ও পরিচালনাকারী সংস্থা বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের ঘরে যাবে না। প্রথমেই আয় থেকে সরকারকে ভ্যাট দিতে হবে। টোল আদায়কারীর পেছনে খরচ আছে। এরপর যা থাকবে, তা থেকে অর্থ মন্ত্রণালয়কে পরিশোধ করতে হবে ঋণের কিস্তি। এসব ব্যয়ের পর টাকা থাকলে তা সেতু কর্তৃপক্ষের মুনাফা হিসেবে বিবেচিত হবে।
আরও পড়ুন: বন্দুক হামলায় নিহত ৩
তবে ব্যয় মিটিয়ে মুনাফা ত্বরান্বিত করতে প্রতি ১৫ বছর পরপর টোল ১০ শতাংশ হারে বৃদ্ধির কথা বলা হয়েছে। পরিকল্পনামতো টোল বাড়ানো হলে ২০৫৩ সাল নাগাদ একটি প্রাইভেট কার পারাপারে দুই হাজার টাকার বেশি টোল দিতে হবে।
পদ্মা সেতু নিজস্ব অর্থায়নে নির্মাণ করা হলেও এ টাকা সেতু কর্তৃপক্ষকে ঋণ হিসেবে দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। ১ শতাংশ সুদে ৩৫ বছরে এ টাকা পরিশোধ করতে হবে। এ জন্য তিন মাস পরপর কিস্তি পরিশোধ করতে হবে। সব মিলিয়ে ১৪০ কিস্তিতে ঋণের টাকা (সুদ ও আসলে) পরিশোধ করা হবে।
আরও পড়ুন: সেপটিক ট্যাংক বিস্ফোরণে ৩ ভাই নিহত
এখন পর্যন্ত পদ্মা সেতু প্রকল্পের ব্যয় ধরা আছে ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে জাপান সরকারের ঋণ মওকুফ ফান্ডের অর্থ ৩০০ কোটি টাকা। এ অর্থ পরিশোধ করতে হবে না। ফলে সেতু বিভাগকে আসল হিসেবে ২৯ হাজার ৯০০ কোটি টাকা পরিশোধ করতে হবে। এর সঙ্গে বাড়তি ১ শতাংশ হারে সুদ গুনতে হবে। অর্থাৎ সুদ-আসলে পরিশোধ করতে হবে ৩৬ হাজার ৪০৩ কোটি টাকা।
সান নিউজ/কেএমএল