সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ শেষ হয়েছে বগুড়া-১ (সোনাতলা-সারিয়াকান্দি) ও যশোর-৬ (কেশবপুর) সংসদীয় আসনের উপ-নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। এখন চলছে ভোটগণনা।
মঙ্গলবার (১৪ জুলাই) সকাল ৯টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়, চলে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। করোনাভাইরাস সংক্রমণের মধ্যে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা মেনে এ উপ-নির্বাচন করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। কেন্দ্রগুলোতে কঠোর নিরাপত্তার পাশাপাশি তাই সংক্রমণ রোধে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ভোট নেওয়া হয়। কেন্দ্রে কেন্দ্রে হাত ধোয়ার ব্যবস্থাও রাখা হয়।
নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব মো. আলমগীর বলেছেন বগুড়া-১ ও যশোর-৬ আসনের উপ-নির্বাচনের ভোটগ্রহণ সুন্দরভাবে সম্পন্ন হয়েছে। কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেনি। ভোট গণনার কাজ চলছে।
ভোট শেষে ইসি সচিব বলেন, যশোরে ভোটার উপস্থিতি বেশি ছিল। বগুড়ায় কিছুটা কম হয়েছে। তবে ভোট পড়ার হার নিয়ে এখনই কিছু বলা সম্ভব না। গণনা চলছে।
তিনি বলেন, সবাই স্বাস্থ্যবিধি মেনেই ভোট দিয়েছেন। কোনো অসুবিধা হয়নি, কোনো সহিংস ঘটনাও ঘটেনি।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত বগুড়া-১ আসনের সংসদ সদস্য আবদুল মান্নান গত ১৮ জানুয়ারি মারা গেলে আসনটি শূন্য ঘোষণা করে সংসদ সচিবালয়। অন্যদিকে যশোর-৬ (কেশবপুর) আসনের সংসদ সদস্য ইসমাত আরা সাদেক গত ২১ জানুয়ারি মারা গেলে আসনটি শূন্য হয়।
এরপর গত ১৬ ফেব্রুয়ারি শূন্য দুই আসনে উপ-নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে ইসি। ভোটগ্রহণের কথা ছিল গত ২৯ মার্চ। কিন্তু করোনার কারণে ভোটের এক সপ্তাহ আগে ২১ মার্চ নির্বাচন স্থগিত করা হয়। তবে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা হিসেবে ১৮০ দিন সময় শেষ হয়ে আসায় করোনার মধ্যেই আবার ভোটের সিদ্ধান্ত দেয় ইসি। তবে করোনার মধ্যে ভোট করায় দুই আসেনেই নির্বাচন বর্জন করেছে বিএনপি।
ভোট উপলক্ষে নির্বাচনী এলাকায় সাধারণ ছুটি চলছে। এ দুই আসনে মোটরসাইকেল ছাড়াও গণপরিবহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে। অপরাধের বিচার কাজ সম্পন্ন করতে নিয়োগ পান মোট চারজন বিচারিক হাকিম।
বগুড়া-১ আসনে মোট ৩ লাখ ১৭ হাজার ৫৬৯ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পেয়েছেন। ভোটগ্রহণ হয়েছে ১২৩টি ভোটকেন্দ্রে। বন্যার কারণে ১৪টি ভোটকেন্দ্র অন্যত্র স্থানান্তরিত হয়।
মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের পর আসনটিতে বৈধ প্রার্থী হন ছয়জন। প্রার্থীরা হলেন—বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য আবদুল মান্নানের সহধর্মিণী সাহাদারা মান্নান (নৌকা), বিএনপির এ কে এম আহসানুল তৈয়ব জাকির (ধানের শীষ), জাতীয় পার্টির মোকছেদুল আলম (লাঙ্গল), প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দলের (পিডিপি) মো. রনি (বাঘ), বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের নজরুল ইসলাম (বটগাছ) ও স্বতন্ত্র ইয়াসির রহমতুল্লাহ ইন্তাজ (ট্রাক)। তবে উপ-নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান বিএনপির প্রার্থী এ কে এম আহসানুল তৈয়ব জাকির (ধানের শীষ)।
যশোর-৬ আসনে ২ লাখ ৪ হাজার ৩৯৭ জন ভোটার ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পেয়েছেন। ভোটগ্রহণ করা হয়েছে ৭৯টি ভোটকেন্দ্রে।
এ আসনে বৈধ তিন প্রার্থী প্রতীক পান। তারা হলেন—বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী শাহীন চাকলাদার (নৌকা), বিএনপির প্রার্থী আবুল হোসেন আজাদ (ধানের শীষ) ও জাতীয় পার্টির প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিব (লাঙ্গল)। তবে বিএনপির প্রার্থী আবুল হোসেন আজাদ (ধানের শীষ) ভোট বর্জন করেন।
সান নিউজ/ এআর