সান নিউজ ডেস্ক : রাজধানীতে আবারও বাড়তে শুরু করেছে ডেঙ্গু রোগী। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি রোগী ভর্তি হচ্ছে মুগদা জেনারেল হাসপাতালে।
আরও পড়ুন: ক্ষমতা ভোগের বস্তু নয়
জানা গেছে, চলতি বছরে জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত প্রথম ছয় মাসে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৩৫২ জন। জুলাই মাসে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে। জুলাইয়ের প্রথম ১৮ দিনে সারা দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন ৮১২ জন।
এবছর ডেঙ্গুতে মারা যাওয়া ৫ জনের মধ্যে ৪ জনেরই মৃত্যু হয়েছে জুলাই মাসে। মশক নিয়ন্ত্রণে কর্তৃপক্ষকে আরও উদ্যোগী হওয়ার পাশাপাশি, কারও শরীরে ডেঙ্গুর লক্ষণ দেখা মাত্রই পরীক্ষার পরামর্শ দিয়েছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
বাসার জমানো পানি প্রতিদিন পরিষ্কার করা, ফুলের টব বা ফ্রিজের নিচে জমা পানি নিয়মিত পরিষ্কার করার পরামর্শ দিয়েছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. ফরহাদ মনজুর। ঘর বাড়ি পরিচ্ছন্ন রাখার পাশাপাশি ঘুমানোর সময় মশারি টানানোর পরামর্শও দেন এই বিশেষজ্ঞ।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধু জনপ্রশাসন পদক ৩১ কর্মকর্তা-প্রতিষ্ঠান পেলো সম্মাননা
ডেঙ্গু নিয়ে রাজধানীতে সবচেয়ে বেশি রোগী ভর্তি হচ্ছেন মুগদা জেনারেল হাসপাতালে। বর্তমানে এই হাসপাতালে ভর্তি আছেন ২৮ জন ডেঙ্গু রোগী। যাদের অধিকাংশই ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মাণ্ডা, মুগদা, বাসাবো এলাকার বাসিন্দা বলে জানা গেছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাব মতে, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ২২ জুলাই পর্যন্ত সারাদেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২ হাজার ১৪ জন। যার মধ্যে সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন ১ হাজার ৭৩৩ জন। এসময়ে কেবল ঢাকাতেই ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১ হাজার ৭১৫ জন ও সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১ হাজার ৪৯৮ জন। ঢাকার বাইরের হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২৯৯ জন ও সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২৩৫ জন।
এ অবস্থায় মশক নিয়ন্ত্রণে সিটি করপোরেশনের পাশাপাশি নগরবাসীকেও বেশি করে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন, অধ্যাপক ড. এ বি এম আবদুল্লাহ।
তিনি বলেন, কোনও অবস্থাতেই কেউ যেন অবহেলা করে ঘরে বসে না থাকেন। যেকোনও ধরনের জ্বর হোক না কেন সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। এ ছাড়া ঘরের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার দিকেও জোর দিতে হবে সবাইকে।
ড. আবদুল্লাহ বলেন, ঘরে বা ছাদে রাখা গাছের টব, এসির নিচ এবং ফ্রিজের নিচে তিন দিনের বেশি পানি জমিয়ে রাখা যাবে না। বাসার মানুষদের নিজেদেরই এগুলো পরিষ্কার করে চলতে হবে। জনগণের সচেতনতা এ বিষয়ে খুব জরুরি। আর এ ব্যাপারে নগর কর্তৃপক্ষকে আরও বেশি উদ্যোগী হতে হবে।
আরও পড়ুন: শপথ নিলেন হামজা শাহবাজ
এদিকে শনিবার (২৩ জুলাই ) ঢাকা উত্তরের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম রাজধানীর লালমাটিয়া আবাসিক এলাকার বাসিন্দাদের সচেতন করার লক্ষে বেশ কয়েকটি নির্মাণাধীন ভবন, বাড়ি ঘুরে দেখেন। এসময় তিনি স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে বিভিন্ন লিফলেট, স্টিকার বিলি করেন।
সাননিউজ/এসআই