নিজস্ব প্রতিবেদক:
দেশের অন্যতম বৃহৎ শিল্প গ্রুপ যমুনা গ্রুপের চেয়ারম্যান ও বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলামের দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৪ জুলাই) বেলা আড়াইটার দিকে বনানী কবরস্থানে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তাকে দাফন করা হয়। এর আগে বাদ জোহর রাজধানীর যমুনা ফিউচার পার্ক প্রাঙ্গণে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজার পর এই বীর মুক্তিযোদ্ধাকে গার্ড অব অনার দেয়া হয়। এর আগে আঞ্জুমান মফিদুল ইসলামর তত্ত্বাবধানে তার গোসল সম্পন্ন করা হয়।
জানাজায় পরিবারের সদস্যরা ছাড়াও আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু, সহকর্মী, গুণগ্রাহীসহ অসংখ্য মানুষ অংশ নেন। তারা সবাই সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে জানাজায় অংশ নেন। এরপর বনানী কবরস্থানে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তাকে দাফন করা হয়। স্বাস্থ্যবিধি মেনে অনেকটা সীমিত পরিসরে তার দাফন কাজ সম্পন্ন হয়।
জানাজার আগে মরহুমের জন্য দোয়া কামনা করেন তার ছেলে যমুনা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শামীম ইসলাম। তিনি তার বাবার পক্ষ থেকে সবার কাছে ক্ষমা চান।
করোনায় আক্রান্ত হয়ে গতকাল সোমবার (১৩ জুলাই) রাজধানীর এভার কেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বাবুল।
গত ১৪ জুন নুরুল ইসলাম অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে এভার কেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বিশিষ্ট এই শিল্পোদ্যোক্তার চিকিৎসায় এভার কেয়ারের আইসিইউ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মাহবুব নুরের নেতৃত্বে ১০ সদস্যবিশিষ্ট মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়।
এর বাইরে চীনের ৩টি হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এবং সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালের দুই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক টেলিকনফারেন্সের মাধ্যমে নিয়মিত খোঁজখবর নিয়েছেন এবং প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়েছেন।
যমুনা গ্রুপ বাংলাদেশের বৃহৎ শিল্পগ্রুপ। ১৯৭৪ সালে নুরুল ইসলাম বাবুল যমুনা গ্রুপ প্রতিষ্ঠা করেন। পরে ধীরে ধীরে শিল্প ও সেবাখাতে গড়ে তোলেন ৪১টি প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে গণমাধ্যম খাতে দৈনিক যুগান্তর এবং যমুনা টেলিভিশন অন্যতম।