সান নিউজ ডেস্ক: আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, দেশের আগামী জাতীয় নির্বাচন নিশ্চয়ই সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে। যেহেতু দেশের সর্বোচ্চ আদালত তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতিকে অবৈধ ঘোষণা করেছেন, সেহেতু দেশে আর তত্ত্বাবধায়ক সরকার হবে না।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৮
শনিবার (১৬ জুলাই) রাজধানীর একটি হোটেলে ‘ন্যাশনাল স্টেকহোল্ডার কনসালটেশন অন ইনস্টিটিউশনাল অব প্যারা লিগ্যাল অ্যাপ্রোচ’ শীর্ষক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন বাংলাদেশে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি, ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসন, জার্মান রাষ্ট্রদূত আচিম ট্রস্টার, জি আই জেড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর আন্দ্রেয়াস কুক, রুল অব ল প্রোগ্রামের প্রোগ্রাম হেড প্রমিতা সেন গুপ্তা প্রমুখ।
আরও পড়ুন: ফেরদৌস ওয়াহিদ হাসপাতালে
আইনমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার যেহেতু আইনের শাসনে বিশ্বাস করে, তাই সর্বোচ্চ আদালতের ওই রায় মান্য করে। বাংলাদেশ একটি স্বাধীন-সার্বভৌম দেশ, যেখানে আইনের মাধ্যমে একটি স্বাধীন নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে। এ নির্বাচন কমিশন জনগণকে সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দেবে। এটার জন্য কারও দরজায় গিয়ে তদবিরের দরকার হবে না।
বিএনপির নির্বাচনে অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী বলেন, সারা বিশ্বে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হয়। এভাবেই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশেও দলীয় সরকারের অধীন নির্বাচন হবে। ভোট হবে নির্বাচন কমিশনের অধীন। নির্বাচনের সময় যে সরকার থাকবে, তারা শুধু দৈনন্দিন কাজ করার জন্যই থাকবে। সেটা আইনের মধ্যেই আছে। আশা থাকবে সবাই নির্বাচনে আসবে।
আরও পড়ুন: বিশ্বজিৎ হত্যার সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেফতার
বিএনপির নেতা-কর্মীদের মুক্তির বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, কেউ যদি বিনা অপরাধে কারাগারে থেকে থাকেন, রাজনৈতিক কারণে থাকেন অবশ্যই মুক্তি পাবেন। কিন্তু কেউ যদি মামলার আসামি হিসেবে থেকে থাকেন, তাহলে আদালত ছাড়া মুক্তি সম্ভব না।
মামলাজট কমাতে সরকার বেশ কিছু উদ্যোগ নিয়েছে জানিয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, সাম্প্রতিককালে মামলা বেশি হচ্ছে। মামলাজটের সঠিক পরিসংখ্যান জানতে একটা কমিটি করা হয়েছে। তারা প্রকৃত মামলার পরিমাণ আগামী ১০ থেকে ১২ দিনের মধ্যে জানাতে পারবে।
সান নিউজ/কেএমএল