সান নিউজ ডেস্ক : বাংলাদেশের ৩ হাজার ৬০০ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগ মাথায় নিয়ে ভারতে আত্মগোপনে থাকা পি কে হালদার অবশেষে কিছুদিন আগে গ্রেফতার হন দেশটির প্রশাসনের হাতে। তাকে ও তার সহযোগী পাঁচজনকে আরও ২৫ দিনের জেল হেফাজতে পাঠিয়েছে ইন্ডিয়ার আদালত।
আরও পড়ুন : বিএনপি পতিত রাজনৈতিক দল
শুক্রবার (১৫ জুলাই) বেলা ১১টায় ব্যাঙ্কশালের বিশেষ সিবিআই আদালতে পি কে হালদারকে উঠানো হয়। এসময় শুনানি শেষে বিচারপতি জীবন কুমার সাঁধু এই আদেশ দেন।
আদালত থেকে একই সঙ্গে পি কে হালদারের মেডিকেল পরীক্ষা করিয়ে পরবর্তী শুনানির দিনে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। প্রিজন ভ্যান থেকে নামানোর সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের কোনো উত্তর দেননি পি কে হালদার। তিনি এসময় চুপ ছিলেন।
মঙ্গলবার (১২ জুলাই) পি কে হালদারের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে ভারতের এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। গ্রেফতারের প্রায় ৬০ দিনের মাথায় এই অভিযোগপত্র দেওয়া হলো।
আরও পড়ুন : ফ্লাইওভারের ওপরে সংঘর্ষে নিহত ৩
ইডির আইনজীবী অরিজিৎ চক্রবর্তী জানান, জেল হেফাজতে পি কে হালদারের মেডিকেল পরীক্ষা করিয়ে আগামী শুনানির দিনে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। ১০ আগস্ট অভিযুক্তদের আদালতে হাজির করা হবে।
তিনি আরও বলেন, এখন পর্যন্ত যা তথ্য পাওয়া গেছে তা অভিযোগপত্রে দেওয়া হয়েছে। প্রাথমিক অভিযোগপত্র হয়েছে ১০০ পাতার। তবে এতে নতুন কোনো নাম যোগ করা হয়নি। এছাড়া সামনে তদন্ত করে আরও যে তথ্য পাওয়া যাবে তা সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট করা হবে।
ইডির আইনজীবী বলেন, ভারতে এখন পর্যন্ত ৪১টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট এবং বাড়ি-জমি মিলিয়ে ১৮টি স্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। যার বাজারমূল্য আনুমানিক পাঁচ কোটি টাকা। এ বিষয়গুলো অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা আছে।
আরও পড়ুন : কোটা সংস্কার একটি যৌক্তিক দাবি
এই আইনজীবী এর আগে জানিয়েছিলেন, পি কে হালদারসহ মোট ৬ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কলকাতার আদালতে চার্জ গঠন করা হয়েছে। তবে নতুন কোনো ধারায় তাদের অভিযুক্ত করা হয়নি। প্রাথমিক চার্জশিটে ‘প্রিভেনশন অব মানি লন্ডারিং অ্যাক্ট-২০০২’ মামলায় তাদের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দেওয়া হয়।
ইডি বলেছে, একাধিক ভুয়া কোম্পানির মাধ্যমে ভারতের বিনিয়োগ করেছিলেন পি কে ও তার সহযোগীরা। কোম্পানির ডিরেক্টর হিসেবে উঠে এসেছিল প্রায় ৫৫ জন প্রভাবশালী বাংলাদেশির নাম।
আরও পড়ুন : অজ্ঞাত গাড়িচাপায় নিহত ২
যদিও গেলো ৫ জুলাই শুনানির দিন ইডি জানিয়েছে, পি কে হালদার মামলায় তদন্তের আওতার বাইরে রাখা হবে আলোচিত বাংলাদেশি প্রভাবশালীদের নাম।
ইডির আইনজীবী জানান, আলোচিত কোম্পানি দুটির ডিরেক্টররা প্রত্যেকেই স্লিপিং পার্টনার হিসেবে ছিলেন। তাদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ এখনই আমরা করছি না।
প্রসঙ্গত, গত ১৪ মে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে অভিযান চালিয়ে পি কে হালদারসহ তার সহযোগীদের গ্রেফতার করে ইডি।
সান নিউজ/এইচএন