সান নিউজ ডেস্ক: যথাযথ মর্যাদা আর ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে জাতীয় ঈদগাহ মাঠে ঈদুল আজহার জামাতে মুসল্লিদের ঢল নেমেছিল। রোববার (১০ জুলাই) সকাল ৮টায় জাতীয় ঈদগাহে প্রথম জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব মাওলানা মুফতি রুহুল আমিন।
আরও পড়ুন: শ্রীলংকার প্রধানমন্ত্রীর বাড়িতে আগুন
জামাতে সুপ্রিম কোর্ট সংলগ্ন মাঠে ঈদের প্রধান জামাতে অংশ নেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশা ও বয়সের প্রায় লাখো মুসলমান।
ঈদুল আজহার দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ শেষে সমগ্র মুসলিম উম্মাহসহ দেশ ও জাতির কল্যাণ, সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে দোয়া মুনাজাত করা হয়। এর আগে কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে ঈদের প্রধান জামাত পড়তে মুসল্লিরা জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে প্রবেশ করেন।
আরও পড়ুন: নির্ধারিত স্থানে পশু কোরবানির আহ্বান
এদিকে জাতীয় ঈদগাহ ছাড়াও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে মোট পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত হবে সকাল সাতটায়, দ্বিতীয় জামাত সকাল আটটায়, তৃতীয় জামাত সকাল নয়টায়, চতুর্থ জামাত সকাল ১০টায় এবং পঞ্চম ও শেষ জামাত সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে অনুষ্ঠিত হবে।
এছাড়া জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় সকাল সাড়ে ৭টায় ঈদ জামাতের আয়োজন করা হয়। মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, জাতীয় সংসদের হুইপ, সংসদ সদস্য, সংসদ সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ এলাকার মুসল্লিরা এ নামাজে অংশ নেন।
আরও পড়ুন: ঢাকার রাস্তাঘাট ফাঁকা
নামাজ শেষে মুসলমান সম্প্রদায় হজরত ইব্রাহিম (আ.)-এর মহান আত্মত্যাগের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে নিজের ভেতরের পশুত্বকে পরিহার ও আল্লাহর অনুগ্রহ লাভের আশায় পশু কোরবানি করে। হজরত ইব্রাহিম (আ.)-এর ত্যাগের মহিমার কথা স্মরণ করে জিলহজ মাসের ১০ তারিখে কোরবানি দেওয়া হলেও ঈদের পর দুই দিন, অর্থাৎ জিলহজ মাসের ১১ ও ১২ তারিখেও পশু কোরবানির ধর্মীয় বিধান রয়েছে।
সান নিউজ/কেএমএল