সান নিউজ ডেস্ক: নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হওয়া খুবই প্রয়োজন। যদি মূল বিরোধী দল নির্বাচনে না আসে, তাহলে নির্বাচন স্বচ্ছ-অস্বচ্ছ যাই হোক, সেটার গুরুত্ব ও গ্রহণযোগ্যতা অনেক কমে যাবে। কারণ ডেমোক্রেসির মূল কথাই হচ্ছে পজিশন এবং অপজিশন বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতু থেকে আসবে ১৬০৪ কোটি
সোমবার (১৩ জুন) রাজধানীর আগারগাঁও নির্বাচন কমিশন ভবনে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
সিইসি বলেন, ‘আমরা টিআইবির প্রতিনিধিদের বলেছি, যে আইন-কানুন আছে সে অনুযায়ী সরকার আমাদের সহযোগিতা করতে বাধ্য। সব নির্বাচনে আমরা সরকারের কাছে সহায়তা চাইব। সরকার অবশ্যই সে সহযোগিতা করবে বলে আশা করি। সহায়তা মূলত পুলিশ প্রশাসন ও জনপ্রশাসন কেন্দ্রিক, আর ডিফেন্স মিনিস্ট্রির। অন্য কোনো মিনিস্ট্রি নিয়ে আমাদের মাথা ঘামানোর দরকার নেই।’
কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলো একটির বিরুদ্ধে আরেকটি প্রতিদিন যে আক্রমণাত্মক মন্তব্য করে আসছে, এখান থেকে সরে আসতে হবে। এদের যদি মুখোমুখি করা যায়, তাহলে আলোচনা হবে গঠনমূলক। টেবিলের বাইরে গিয়ে ধারাবাহিকভাবে আক্রমণাত্মক বক্তব্যে কিন্তু দূরত্ব কমবে না। কারণ আমরা চাচ্ছি নির্বাচনে সব দল অংশ নিক।’
তিনি আরও বলেন, ‘সহিংসতার কারণে কোথাও যদি নির্বাচন বিঘ্নিত হয়, আমাদের ক্ষমতা আছে কেন্দ্র বাতিল করে দেওয়ার। আমরা এ বিষয়ে সতর্ক থাকব। আমরা চাইব কেন্দ্রে যাতে ভোটাররা যেতে পারেন এবং নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারেন।’
আরও পড়ুন: সিদ্ধিরগঞ্জে পুলিশ-জনতা সংঘর্ষ
প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘দলগুলোর উপলিব্ধ করা উচিত নির্বাচনে যেন বাণিজ্য না হয়। মানে কাউকে বাণিজ্যের জন্য এমপি হতে হবে, এমন কিছু যেন না হয়। নমিনেশন এনে যে করেই হোক নির্বাচনে জিততে হবে- এই মানসিকতা থেকে সবাইকে সরিয়ে আনা গেলে আমাদের বর্তমান নির্বাচনী ব্যবস্থা আরও উন্নত অবস্থানে পৌঁছাতে পারবে।
নির্বাচনকালীন সরকার সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, নির্বাচনের সময় যে সরকার থাকবে সেটাই নির্বাচনকালীন। অপজিশন থেকে যে দাবিগুলো করা হচ্ছে এগুলো নিয়ে আমাদের কোনো মন্তব্য নেই। এটা সাংবিধানিক বিষয়। নির্বাচনকালীন সরকারের সঙ্গে আমাদের ইন্টার্যাকশন বেড়ে যাবে। আমরা চাই তারা আমাদের সহযোগিতা করুক।’
আগামী জাতীয় নির্বাচনে কীভাবে এমপিদের নিয়ন্ত্রণ করবেন, এমন প্রশ্নে সিইসি বলেন, ‘নিয়ন্ত্রণ করতে পারব কি না জানি না। সংসদ নির্বাচন যখন হবে, তখন তো তারা এলাকায় থাকবেন। কিন্তু সেখানে তাদের কিছু আচরণ ফলো করতে হবে। আমাদেরও চেষ্টা থাকবে।’
কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘সব দেশেই দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হচ্ছে। ভারতে হচ্ছে, আমেরিকাতে হচ্ছে। সরকার তো সরকার। দল ভিন্ন জিনিস। আমরা এই বিভাজনটা স্পষ্ট করার চেষ্টা করছি। সরকারে যারা আছেন তারা শপথ নিয়েছেন, সংবিধান অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করবেন। সম-আচরণ করবেন, পক্ষপাতিত্ব করবেন না।
সান নিউজ/এনকে