সান নিউজ ডেস্ক : জাতীয় শহীদ মিনারে দেশবরেণ্য সাংবাদিক, কলাম লেখক, গীতিকার এবং‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি আমি কি ভুলিতে পারি’ গানের স্রষ্টা আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীর লাশে শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন শত শত মানুষ।
আরও পড়ুন : দেশে পৌঁছেছে গাফ্ফার চৌধুরীর মরদেহ
শনিবার (২৮ মে) দুপুর ১টা ১৫ মিনিটে শহীদ মিনারে তার লাশ আনা হয়। এসময় সারিবদ্ধভাবে শ্রদ্ধা জানাতে অংশ নেন সর্বস্তরের মানুষ।
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে বলেন, গাফ্ফার চৌধুরী শুধু লেখকই ছিলেন না, তিনি আমাদের সমাজের আলোকবর্তিকা। আমি তো মনে করি বাতিঘর।
গত কয়েক মাস আগেও প্রবাসীদের একটা অনুষ্ঠান করেছিল। সেখানে হাসপাতাল থেকেও তিনি যুক্ত হয়েছিলেন, সবাইকে জীবিত করেছিলেন। তার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাই।
আরও পড়ুন : ঢাকা-উত্তরবঙ্গ ট্রেন চলাচল শুরু
শ্রদ্ধা নিবেদন ও গার্ড অব অনার দেওয়ার পর বিকেল সাড়ে ৩ টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে মরহুমের নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
শনিবার (২৮ মে) বেলা ১১টা ৫ মিনিটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে তার লাশ ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায়। সরকারের পক্ষে লাশ গ্রহণ এবং শ্রদ্ধা নিবেদন করেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
দুপুর ১২টায় বিমানবন্দরে আনুষ্ঠানিকতা ও শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে মরদেহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের উদ্দেশ্যে রওনা হয়।
আরও পড়ুন : মাঙ্কিপক্সের বেশি ঝুঁকিতে তরুণরা
জাতীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে নামাজে জানাজা শেষে বিকেল ৪ টায় মরদেহ জাতীয় প্রেস ক্লাবে শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য নেওয়া হবে। পরে বিকেল সাড়ে পাঁচটায় মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।
গত ১৯ মে ভোর ৬টা ৪০ মিনিটে লন্ডনের বার্নেট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী। তার বয়স হয়েছিল ৮৮ বছর। তিনি বার্ধক্যজনিত নানা রোগে ভুগছিলেন।
আরও পড়ুন : বিশ্বের ২২ দেশে মাঙ্কিপক্স রোগী
প্রসঙ্গত, ১৯৩৪ সালের ১২ ডিসেম্বর আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীর জন্ম। বরিশাল জেলার উলানিয়া গ্রামের চৌধুরী বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। তার বাবা হাজি ওয়াহিদ রেজা চৌধুরী ও মা জহুরা খাতুন। আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী একজন সুপরিচিত বাংলাদেশি গ্রন্থকার, কলাম লেখক।
তিনি ভাষা আন্দোলনের স্মরণীয় ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি’ গানের রচয়িতা। স্বাধীনতাযুদ্ধে মুজিবনগর সরকারের মাধ্যমে নিবন্ধিত স্বাধীন বাংলার প্রথম পত্রিকা সাপ্তাহিক ‘জয় বাংলা’র প্রতিষ্ঠাতা ও সম্পাদক ছিলেন।
সান নিউজ/এইচএন