নিজস্ব প্রতিবেদক:
সারা দেশে ৬১টি জেলার ৪ হাজার ৩০০ ইউনিয়নের মধ্যে একটি করে পুকুর বা জলাশয়ে সরকারি খরচে মাছ চাষ ও চাষিদের প্রশিক্ষণ দেয়া হবে জানিয়েছে মৎস্য অধিদপ্তর।
প্রতি ইউনিয়নে একটি করে জলাশয় নির্বাচন করবেন চেয়ারম্যানের অধীনে গঠিত কমিটি। পুকুর বা জলশয়ের মালিককে ৩৫ হাজার টাকার উপকরণ বিনামূল্যে দেয়া হবে। এর মাধ্যমে আধুনিক প্রযুক্তি প্যাকেজ সম্প্রসারণ করে মাছের উৎপাদন ব্যাপকহারে বাড়ানো হবে।
উপকরণের মধ্যে থাকবে ১০ হাজার টাকার মাছের পোনা, ১০ হাজার টাকার মাছের খাবার ও বাকি টাকা পুকুর প্রস্তুতের জন্য ব্যবহার করা হবে। এই ৩৫ হাজার টাকা প্রকল্প থেকে দেয়া হবে।
ইউনিয়ন পর্যায়ে মৎস্য চাষ সম্প্রসারণ প্রকল্পের আওতায় এমন উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। চলমান প্রকল্পের আওতায় মৎস্য চাষের পরিধি বাড়ছে। ফলে প্রকল্পের সময় ও মেয়াদ বাড়ছে বলে জানায় মৎস্য অধিদপ্তর।
প্রকল্প শুরু থেকে বর্তমান পর্যন্ত মোট ৩ হাজার ১১৪ হেক্টর আয়তনের জলাশয়ে ১২ হাজার ৯৪৯টি বিভিন্ন প্রযুক্তির প্রশিক্ষণ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হয়েছে। ফলে বেজলাইন থেকে মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে ১০ হাজার ৮২১ দশমিক ৭৬ মেট্রিক টন।
প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান বলেন, আমরা চলমান প্রকল্পের ব্যাপক সফলতা পেয়েছি। সারাদেশে মাছের উৎপাদন বেড়েছে। প্রকল্পের সময় ও আওতা বাড়িয়ে নতুন উদ্যাগ বাস্তবায়নের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। আমরা জানি চিংড়ি, পাবদা ও টেংরা বিশেষ অঞ্চলের মাছ। কিন্তু প্রযুক্তি সম্প্রসারণের ফলে এই মাছ সারা দেশে ছড়িয়ে দেব। এজন্য মূলত প্রকল্পের আওতা ও মেয়াদ বৃদ্ধি করা হচ্ছে।
মৎস্য অধিদপ্তর সূত্র জানায়, মূল প্রকল্পের ব্যয় ছিল ২৪২ কোটি ২৮ লাখ টাকা। এর পরে ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ২৭০ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। প্রকল্পটি মার্চ ২০১৫ থেকে জুন ২০২০ মেয়াদে সম্পন্ন হওয়ার কথা ছিল। নতুন করে প্রকল্পের ব্যয় বেড়ে দাঁড়াচ্ছে জুন ২০২২ সাল পর্যন্ত। মেয়াদ বৃদ্ধির পাশাপাশি প্রকল্পের মোট ব্যয় বেড়ে দাঁড়াচ্ছে ৩৯৫ কোটি ৯৭ লাখ।
বর্তমানে প্রকল্পের আওতায় ৬১টি জেলার ৩৫৫টি উপজেলার ৩ হাজার ইউনিয়নে কার্যক্রম চলমান। তবে এখনও ১০৯ উপজেলার ৮৭৩ ইউনিয়ন প্রকল্পের কার্যক্রম আওতা থেকে বঞ্চিত।
এসব এলাকার মৎস্য চাষিরা নতুন ও আধুনিক মৎস্যচাষ প্রযুক্তি থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এ কারণে প্রকল্পের পরিধি বাড়ানো হচ্ছে।
সান নিউজ/সালি