সান নিউজ ডেস্ক: আমাদের তরুণ সমাজ এই দৃশ্যপট বদলে দিয়ে সোনালি যুগ নিয়ে আসবে, সেই প্রত্যাশা করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
আরও পড়ুন: এসডিজি বাস্তবায়নে অর্থের সর্বোত্তম ব্যবহার করুন
রোববার (১৫ মে) সন্ধ্যায় রাজধানীতে ভারতীয় হাইকমিশনে বাংলাদেশ ইয়ুথ ডেলিগেশন ২০২২’র প্রক্রিয়ার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন। ঢাকায় ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামীর সভাপতিত্বে উপ-হাইকমিশনার বিনয় জর্জ, আগের বছরগুলোতে ভারত সফরকারী তরুণদলের আমন্ত্রিত সদস্যবৃন্দ এবং মিশনের কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
ইতিহাসের দিকে তাকিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, কৃষি অর্থনীতির যুগে সমগ্র ভারতবর্ষে আমরা ধনী ছিলাম। ইউরোপে বছরে একটি বা দু’টি ফসল হতো, আমাদের হতো তিনটি। আমরা ধনী ছিলাম বিধায় এখানে পর্তুগিজ, ওলন্দাজ, ইংরেজ, ফরারিরা এসেছে এবং ধনীর বাড়িতেই ডাকাত পড়ে, যদিও তাদের সবাইকে আমি ডাকাত বলছি না। এরপর অর্থনীতি শিল্পনির্ভর হয়ে যাওয়ার পর দৃশ্যপটটা বদলে যায়। তখন আমাদের কাঁচামাল ব্যবহার করে ইউরোপীয়রা শিল্প গড়ে ধনী হয়।
বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্ক রক্তের অক্ষরে লেখা উল্লেখ করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে এদেশের এক কোটি মানুষকে ভারত আশ্রয় দিয়েছিল, মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে যুদ্ধ করে ভারতীয় সেনারা প্রাণ দিয়েছিলেন, যা কখনো ভুলবার নয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে চলেছেন। তরুণদলের সদস্য হয়ে ভারত ভ্রমণে অনেক কিছু জানার ও শেখার আছে।
ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী বলেন, করোনার কারণে দু’বছর বন্ধ থাকার পর বাংলাদেশ ইয়ুথ ডেলিগেশন ২০২২ এর প্রক্রিয়া উদ্বোধন করতে পেরে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত কারণ, এ প্রক্রিয়া দু’দেশের মৈত্রীবন্ধনকে আরও গাঢ় করবে।
আরও পড়ুন: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ খাদ্যপণ্যে প্রভাব ফেলেছে
পরে মন্ত্রী ও হাইকমিশনার বাংলাদেশ ইয়ুথ ডেলিগেশন ২০২২-এ আবেদনের পোর্টাল ও লোগো উদ্বোধন করেন। পোর্টালটি রোববার থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত আবেদন গ্রহণের জন্য সক্রিয় থাকবে।
পরে ভারতীয় হাইকমিশনের ওই পোর্টালে গিয়ে কীভাবে এই ডেলিগেশনের সদস্য হওয়ার জন্য আবেদন করতে হবে তা সবিস্তারে তুলে ধরা হয়।
শেষে ভারত সফরকারী বাংলাদেশ ইয়ুথ ডেলিগেশনের সাবেক সদস্যরা অনুষ্ঠানে নৃত্যগীতি পরিবেশন করেন।
সাননিউজ/এমআরএস