সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী  ওবায়দুল কাদের ( ফাইল ছবি )
জাতীয়

দর কষাকষি করে লাভ নেই

সান নিউজ ডেস্ক: দর কষাকষি করবেন না। কোনো লাভ নেই, দর কষাকষি করে। সরকার সংবিধান থেকে নড়বে না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

আরও পড়ুন: ৫৮২৫ কোটি টাকার ১১ প্রকল্প অনুমোদন

তিনি বলেন, পৃথিবীর অন্যান্য দেশে যেভাবে নির্বাচন হয়, ঠিক সেভাবেই সরকার নির্বাচন কমিশনকে সহায়তা করবে।

মঙ্গলবার (১০ মে) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সম্পাদকমন্ডলীর সদস্যদের সঙ্গে দলের সহযোগী সংগঠনের নেতাদের বৈঠকের আগে তিনি এ কথা বলেন।

কাদের বলেন, বিএনপি যেসব কথা বলছে, দর কষাকষির জন্য বলছে। নির্বাচনের প্রস্তুতি নিন, নির্বাচন ছাড়া ক্ষমতা পরিবর্তনের আর কোনো বিকল্প নেই। নির্বাচনে যদি জনগণ আপনাদের ভোট দেন, নির্বাচিত করে বা আমরা হেরেও যাই, তারপরও এই নিরপেক্ষ নির্বাচনের পক্ষে সব সময় থাকবো। জনগণকে আস্থায় নিয়ে ফ্রি, ফেয়ার, ক্রেডিবল নির্বাচন আমরা করব। জনগণের ইচ্ছায় ক্ষমতার পরিবর্তন হবে। বিএনপিকে আমরা বলব, এদিক-সেদিন দর কষাকষি না করে, নির্বাচনে আসুন।

বিএনপির নির্বাচনে আসার বিকল্প নেই উল্লেখ করেতিনি বলেন, বিএনপির নেতারা ভালো করেই জানেন, দলের অস্তিত্ব রক্ষায় তাদের নির্বাচনে আসতেই হবে। তাদের হাতে কোনো বিকল্প নেই।

আরও পড়ুন: কোন পদ্ধতিতে ভোট হবে সিদ্ধান্ত আমরা নেবো

সরকার ৩০০ আসনেই ইভিএম চায় জানিয়ে কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ দলগতভাবে ৩০০ আসনে ইভিএম চায়। নির্বাচন কমিশন তার সক্ষমতা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে। তারা যদি না পারে, সেটা ভিন্ন কথা।

আসন্ন নির্বাচনের বিষয়ে কাদের বলেন, সরকারের পদত্যাগ নয়, সংবিধান অনুযায়ী যথা সময়ে নির্বাচন হবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে। অবাধ-সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানে সরকার কমিশনকে সহায়তা করবে। নির্বাচনে সরকারের কোনো কর্তৃত্ব থাকবে না। কর্তৃত্ব থাকবে নির্বাচন কমিশনের। সরকারের যে সব ডিপার্টমেন্ট নির্বাচনের বিষয়টা ডিল করবে সবকিছুই তখন নির্বাচন কমিশনের অধীনে চলে যাবে। সরকারের নির্দেশনায় তখন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও চলবে না। তারাও নির্বাচন কমিশনের অধীনে থাকবে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ফখরুল সাহেব বলেছেন, ইভিএম তো পরের ব্যাপার, আগে পদত্যাগ। নিরপেক্ষ সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর। তারপর নির্বাচন।

কাদের বিএনপির উদ্দেশ্যে প্রশ্ন ছুড়ে বলেন, ইভিএম পরের ব্যাপার কেন? আপত্তি কোথায়? পৃথিবীর বহু দেশে ইভিএমে নির্বাচন হচ্ছে। আপনারা কি নির্বাচনে কারচুপি করতে চান? কারচুপি, জালিয়াতি এড়ানোর জন্যই ইভিএম ব্যবস্থা হচ্ছে। এছাড়া আধুনিক আর কোনো পদ্ধতি নেই, নির্বাচনে কারচুপি-জালিয়াতি ঠেকানোর। এখানে আপত্তি কেন থাকবে? পদত্যাগ কেন করতে হবে? কি কারণে, আমরা কি অন্যায় করলাম? আমরা বলতে চাই জনগণের কথা। দেশের মানুষ ১৩ বছর বিএনপি ও তাদের জোটের হাঁকডাক শুনেছে। কিন্তু পানি ঘোলা করে অবশেষে তারা ডায়লগেও এসেছেন প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণে। নির্বাচনেও অংশ নিয়েছেন। এবারও সেই একই কথা নতুন করে বলছেন।

আরও পড়ুন: দেশে মাথাপিছু আয় বেড়ে ২৮২৪ ডলার

কুমিল্লায় আওয়ামী লীগ নেতাদের গুলি করার বিষয়টি তুলে কাদের বলেন, কুমিল্লায় এলডিপির মহাসচিবের ওপরে হামলা হয়েছে। এ বিষয়ে বিএনপির মহাসচিব একটি বিবৃতি দিয়েছেন। আমরা প্রথমত বলতে চাই, এ হামলার বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যথাযথ তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেবেন। শেখ হাসিনার আমলে কোনো ধরণের অপকর্মকারীদের ছাড় দেননি। এখানেও কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। এতে কোনো সন্দেহ নাই।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, এ ঘটনাকে অভিযুক্ত করে ফখরুল সাহেব অন্ধ সমালোচনা বিষদগার করেছেন। স্বভাবসুলভ বরাবরের মতোই। লক্ষণীয় বিষয় হলো এলডিপির মহাসচিব নিজ হাতে আমাদের কৃষক লীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের দুজন কর্মীকে গুলি করেছেন। তারা এখনো হাসপাতালে। এ বিষয়ে ফখরুল সাহেব একটি শব্দও বলেননি। পুরোপুরি চেপে গেছেন। এটা কি রাজনৈতিক সততা? এটা কি গণতন্ত্র? এ ধরনের সত্য গোপনের, হত্যা, সন্ত্রাসের রাজনীতি প্রশ্রয় দেন এবং লালনের কাজটি তারা করে আসছেন জন্মলগ্ন থেকে। ক্ষমতায় থাকা কালেও তারা এটি করেছেন। ফখরুল সাহেব আজকাল সব কিছু একচক্ষু হরিণের মত দেখেন। না হলে এলডিপির মহাসচিবের গুলি ছোড়ার বিষয়টি তিনি দেখতে পেতেন। তার বিবৃতি জনগণ প্রত্যাখান করেছে। সত্য লুকিয়ে শিবের গীত গাওয়ার জন্য। তিনি বিবৃতিতে আরেকটি বিষয় আবিষ্কার করেছেন, সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে নাকি এগুলোর বিষয়ে ইন্দন জোগানো হচ্ছে।

তিনি বলেন, সন্ত্রাসের পথ তারাই বেছে নেয়, যারা ব্যালটে আস্থা হারিয়ে নির্বাচন বিমুখ হয়। ষড়যন্ত্র তাদের হাতিয়ার, তারা গণতন্ত্রের পথে না হেঁটে ক্ষমতায় যেতে চোরা গলি খুঁজে বেড়ায়। বিএনপির রাজনীতি জনগণ প্রত্যাখান করেছে।

আরও পড়ুন: ইকুয়েডরে কারাগারে সংঘর্ষে নিহত ৪৩

বিএনপির রাজনৈতিক কৌশলের বিষয়ে কাদের বলেন, জনগণের ধারণা ক্ষমতা লিপ্সায় বিএনপির মহাসচিব পলিটিক্যাল হেলোসিনেশনে ভুগছেন। ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে হামলার পরিকল্পনা করা, সন্ত্রাস চালানো, গ্রেনেড হামলা, আগুন সন্ত্রাস এসব তাদেরই চর্চা। আওয়ামী লীগ এসব অপচর্চা, অপরাজনীতিতে বিশ্বাসী নয়।

সাননিউজ/এমআরএস

Copyright © Sunnews24x7
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

নলছিটিতে ফুটবল টুর্নামেন্ট শুরু

ঝালকাঠি প্রতিনিধি: ঝালকাঠির নলছিটিতে শুরু হয়েছে ভূট্টো স্মৃত...

স্বামীর মুঠোফোনে সাবেক প্রেমিকের ম্যাসেজ-ভিডিও, নববধূর আত্মহত্যা

নোয়াখালী প্রতিনিধি : নোয়াখালীর সুবর্ণচরে স্বামীর মুঠোফোনে সা...

বাজার সহনশীল করার চেষ্টা করছি

নিজস্ব প্রতিবেদক : বাজারে নিত্যপণ্যের দাম কিছুটা কমে এসেছে জ...

জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচনের পরামর্শ

নিজস্ব প্রতিবেদক : নির্বাচন সংস্কার কমিশনের সদস্য তোফায়েল আহ...

বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৩ জনের মৃত্যু

জেলা প্রতিনিধি: গাজীপুরের শ্রীপুরে পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পৃ...

দুপুরে শপথ নেবেন নতুন সিইসি ও ইসি

নিজস্ব প্রতিবেদক: আজ দুপুরে শপথ ন...

আজ সুপ্রিম কোর্টের বিচারকাজ বন্ধ

নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের সাবেক প্র...

গাজায় ইসরায়েলি বর্বর হামলায় নিহত ১২০

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ফিলিস্তিনের গা...

লেবাননে ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৩৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: লেবাননের রাজধা...

বারী সিদ্দিকী’র প্রয়াণ

নিজস্ব প্রতিবেদক: আজকের ঘটনা কাল...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
sunnews24x7 advertisement
খেলা