নিজস্ব প্রতিবেদক:
বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পাটকল শ্রমিকদের দায়িত্ব নিয়েছেন। শুক্রবার (০৩ জুলাই) রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরীতে নিজ বাসভবনে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন ২০১৫ সালের মজুরি কমিশনসহ সব ধরনের সুবিধা নিশ্চিত করা হবে শ্রমিকদের। তাদের পুরো টাকা যেন খরচ না হয়ে যায় সে জন্যই তাদের অর্ধেক টাকা সঞ্চয়পত্র হিসেবে রাখা হবে। এছাড়া প্রত্যেককে পুনর্বাসিত করা হবে বলেও জানান তিনি।
পাটমন্ত্রী বলেন, পাটকল শ্রমিকদের ঠকানো হবে না। তাদের ২ ধাপে টাকা দেওয়া হবে। অর্ধেক দেওয়া হবে ক্যাশে, বাকি অর্ধেক দেওয়া হবে সঞ্চয়পত্রের মাধ্যমে।
আগামী ৩ দিনের মধ্যেই পাটকল শ্রমিকদের পাওনা টাকার পরিমাণ জানা যাবে জানিয়ে গোলাম দস্তগীর গাজী বলেন, শ্রমিকদের চলতি মাসের বেতন মাসের শেষে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট চলে যাবে।
এ সময় শ্রম প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে যখন আমি পাটকলের বিষয়ে জানাই তখন মনে হলো উনি কাঁদছেন। আমি তাকে সব জানিয়েছি। উনি জানিয়েছেন সব পাওনা সময় মতো পেয়ে যাবেন।
তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপী পাটের চাহিদা বাড়ছে। একটি পাট গাছের প্রতিটি অংশ কাজে লাগে। আমরা পাটকল বন্ধ করছি এটা ঠিক না। এর আধুনিকায়ন হবে।
এর আগে, বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল শ্রমিকদের শতভাগ পাওনা পরিশোধের নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গণভবনে এক সভায় তিনি এ নির্দেশ দেন বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব ড. আহমদ কায়কাউস।
প্রায় ২৫ হাজার পাটকল শ্রমিক অবসরকালীন সুবিধাসহ প্রায় ৫ হাজার কোটি পাবেন জানিয়ে আহমদ কায়কাউস বলেন, আগামী ৩ দিনের মধ্যে শ্রমিকদের তালিকা তৈরির নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
গত ৪৪ বছরে মধ্যে মাত্র চারবার লাভ করেছে রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলগুলো। বেসরকারি খাতের পাটকলগুলো লাভ দেখাতে পারলেও বিজেএমসির আওতাধীন মিলগুলো বছরের পর বছর লোকসান করে যাচ্ছে। ৪৮ বছরে পাটকলগুলোর ক্ষতির পরিমাণ ১০ হাজার ৬৭৪ কোটি টাকা। এমন অবস্থায় অব্যাহত পাটকল শ্রমিকদের গোল্ডেন হ্যান্ডশেকের মাধ্যমে বিদায় জানানোর ঘোষণা দেয় সরকার।
সরকারের এ সিদ্ধান্ত মেনে নিলেও বকেয়া পাওনা এককালীন পরিশোধের দাবি ওঠে শ্রমিকদের পক্ষ থেকে। এবার সরকার থেকে এলো সে ঘোষণাও। গণভবনে এক সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল শ্রমিকদের শতভাগ পাওনা পরিশোধের নির্দেশ দেন।
সান নিউজ/ আরএইচ