সান নিউজ ডেস্ক : ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কলাবাগান থানা রাজধানীর কলাবাগানের তেঁতুলতলা খেলার মাঠে নয়, জনস্বার্থে সরকার কর্তৃক দেশের প্রচলিত আইনে বরাদ্দ দেওয়া জমিতেই নির্মাণ হচ্ছে।
আরও পড়ুন : মার্কিন নেতৃত্বাধীন ন্যাটো ছায়াযুদ্ধে জড়িয়েছে
মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মো. ফারুক হোসেন জানিয়েছেন, ডিএমপি কোনো ব্যক্তি বা সংস্থার জমিতে বেআইনিভাবে থানা ভবন নির্মাণ করছে না। বিকল্প খেলার মাঠ ব্যবস্থার বিষয়টি ডিএমপির এখতিয়ারভুক্ত নয়।
মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক ব্রিফিংয়ের সময় এসব কথা বলেন তিনি। ডিএমপি এ সংক্রান্ত একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিও পাঠিয়েছে।
সেখানে বলা হয়েছে, জনস্বার্থে কলাবাগান থানার জন্য ধানমন্ডি মৌজার ০.২০ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে স্থাবর সম্পত্তি অধিগ্রহণ ও হুকুম দখল আইন, ২০১৭ এর সকল বিধি-বিধান অনুসরণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন : ঘর পাওয়া মানুষের হাসি সব থেকে ভালো লাগে
কলাবাগান থানার জন্য অধিগ্রহণকৃত ০.২০ একর জমি জরিপ অনুযায়ী সরকারি সম্পত্তি ও সরকারের পক্ষে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের মালিকানাধীন।
জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া সম্পর্কে তিনি বলেন, কলাবাগান থানার জন্য ০.২০ একর জমি অধিগ্রহণের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক অনুমোদন পাওয়া যায়। সরকারি প্রয়োজনে ও জনস্বার্থে রাজউকের কোনো আপত্তি নেই মর্মে ছাড়পত্র পাওয়া যায়।
জায়গাটির প্রস্তাবিত ভূমি ব্যবহার আরবান রেসিডেন্সিয়াল জোন হিসেবে চিহ্নিত আছে মর্মে নগর উন্নয়নের ছাড়পত্র এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের অনাপত্তিপত্র পাওয়া গেছে।
আরও পড়ুন : অতিরিক্ত ভাড়া আদায় না করার অনুরোধ
স্থানীয় সংসদ সদস্য ওই জমিতে এলাকাবাসীর নিরাপত্তার সুবিধার্থে স্থায়ীভাবে কলাবাগান থানা স্থাপনের জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বরাবর ডিও লেটার প্রদান করেছেন। ঢাকা জেলা প্রশাসক সম্ভাব্যতা যাচাই প্রতিবেদনে জমি অধিগ্রহণের জন্য সুপারিশসহ ভূমি মন্ত্রণালয়ের মতামত প্রেরণ করেন।
সরকারের কেন্দ্রীয় ভূমি বরাদ্দ কমিটিতে কলাবাগান থানার জন্য ০.২০ একর জমি অধিগ্রহণের বিষয়ে সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। জমির ক্ষতিপূরণ মূল্য বাবদ ডিএমপি কমিশনার বরাবর ২৭ কোটি ৫৪ লাখ ৪১ হাজার ৭১০/৯২ টাকার প্রাক্কলন প্রেরণ করেন ঢাকার জেলা প্রশাসক।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে সে টাকার ব্যয় মঞ্জুরি পাওয়া যায়। ঢাকা জেলা প্রশাসককে প্রাক্কলিত টাকা চেকের মাধ্যমে পরিশোধ করা হয়।
আরও পড়ুন : জাফর ইকবাল হত্যাচেষ্টায় হামলাকারীর যাবজ্জীবন
গত ৩১ জানুয়ারি ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা, ঢাকা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় কর্তৃক সরেজমিনে ডিএমপিকে জমির দখলভার হস্তান্তর করা হয়।
কলাবাগান থানার ০.২০ একর জমি অধিগৃহীত ও দখল হস্তান্তর বিষয়ে বাংলাদেশ গেজেটের ৬ষ্ঠ খন্ডে ১৭ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত হয়। গত ২৭ মার্চ জমির নামজারি ও জমাভাগকরণ কার্যক্রম সম্পন্ন হয়।
ডিএমপির ডিসি (মিডিয়া) ফারুক হোসেন বলেন, প্রস্তাবিত থানার জায়গা তেঁতুলতলা মাঠ হতে কিছু দূরে কলাবাগান মাঠ রয়েছে। সেখানে বাচ্চাদের খেলাধুলাসহ সামাজিক অনুষ্ঠানের সুযোগ রয়েছে।
আরও পড়ুন : লিবিয়ায় ২৪০ বাংলাদেশি আটক
জনস্বার্থে সরকার কলাবাগান থানা নির্মাণের জন্য প্রচলিত আইন মেনে জমি বরাদ্দ দিয়েছে। এ ক্ষেত্রে ডিএমপি কোনো ব্যক্তির বা সংস্থার জমিতে বেআইনিভাবে থানা ভবন নির্মাণ করছে না। বিকল্প খেলার মাঠ ব্যবস্থার বিষয়টি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের এখতিয়ারভুক্ত নয়।
সান নিউজ/এইচএন