সান নিউজ ডেস্ক: ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের তিনটি ফ্লাইওভার যানবাহন চলাচলের খুলে দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে গাজীপুর অংশে নাওজোর এবং কালিয়াকৈর উপজেলার সফিপুর ও টাঙ্গাইল অংশের গোড়াই ফ্লাইওভার খুলে দেওয়া হয়। তবে ফ্লাইওভারের কিছু কাজ বাকি রয়েছে বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: থানা নাকি খেলার মাঠ, আলোচনা করে সিদ্ধান্ত
সোমবার (২৫ এপ্রিল) সকালে গাজীপুর মহানগরের নাওজোর ও কালিয়াকৈর উপজেলার শফিপুর বাজারে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে ওপর নির্মিত এ দুটি ফ্লাইওভার যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়।
জানা যায়, এবারের ঈদযাত্রায় ভোগান্তি কমাতে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের উপর গাজীপুর অংশে দুটি ফ্লাইওভার যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে।
গাজীপুর সড়ক বিভাগের দাবি ফ্লাইওভার খুলে দেওয়ায় অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার ঈদের ঘরমুখো মানুষের যাতায়াত অনেকটা স্বস্তিদায়ক হবে।
আরও পড়ুন: ১৫ জুন কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচন
দেশের উত্তর অঞ্চলের ২৩টি জেলার ঢাকার সঙ্গে যোগাযোগের গুরুত্বপূর্ণ ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের চন্দ্রা, ভোগড়া বাইপাস ও চান্দনা চৌরাস্তা। প্রতি ঈদে এসব সড়ক পথে ভোগান্তি পোহাতে হয় যাত্রী ও চালকদের। যানজটে পড়ে থাকতে হয় ঘণ্টার পর ঘণ্টা।
যানজটের এ দুর্ভোগ কমাতে ২০১৯ সালে গাজীপুর মহানগরীর নাওজোড় ও সফিপুরে দুটি ফ্লাইওভারের কাজ শুরু হয়। এতে কাজ চলমান থাকায় প্রতিদিনই যানজটে ভোগান্তি পোহাতে হতো যাত্রীদের।
গাজীপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী খন্দকার মোহাম্মদ শরীফুল আলম জানান, ঈদের আগে ফ্লাইওভার দুটি খুলে দেওয়ায় ঈদযাত্রায় স্বস্তিদায়ক হবে। মানুষের দুর্ভোগ অনেকটা কমে আসবে।
ফ্লাইওভার খুলে দেওয়ার সময় সাসেক-২ এর প্রকল্প পরিচালক ডা. মোহাম্মদ ওয়ালিউর রহমান, সাসেক-১ এর অতিরিক্ত প্রকল্প পরিচালক নূর-এ-আলম, টাঙ্গাইল সড়ক বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ বিশ্বের সবচেয়ে কম দামে টিকা দিয়েছে
পুলিশ জানায়, গোড়াই এলাকায় ফ্লাইওভার কাজ চলমান থাকায় সাপ্তাহিক ছুটিসহ বিভিন্ন দিবসকে কেন্দ্র করে যানবাহনের চাপ বাড়লে এখানে যানজটের সৃষ্টি হতে। এতে ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে মহাসড়ক ব্যবহারকারীদের। ঈদকে কেন্দ্র করে সোমবার ফ্লাইওভারটি খুলে দেওয়ায় নির্ধারিত সময়ে গন্তব্যে পৌঁছতে পারছেন মানুষ।
সাসেক-১ এর অতিরিক্ত প্রকল্প পরিচালক নূর-এ-আলম বলেন, গোড়াই ফ্লাইওভারটি গুরুত্বপূর্ণ একটি সেতু। বিভিন্ন কারণে ফ্লাইওভারটি কাজ করতে একটু সময় লেগেছে। অল্প কিছু কাজ বাকি থাকলেও বর্তমানে সেতুটি যান চলাচলের জন্য উপযোগী। ঈদকে সামনে রেখে রাত দিন কেটে সেতুটি প্রস্তুত করা হয়েছে। ভোগান্তি থেকে মানুষকে মুক্তি দেওয়ার জন্য ঈদের আগে খুলে দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: কালকের টিকিটের জন্য আজ লাইন দিলে কী করার
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে গাড়ি চলাচল শুরু হয়েছে। উত্তর ও পশ্চিমবঙ্গসহ ২৩ জেলার মানুষ এ সেতু ব্যবহার করবে। এতে চারলেন এলাকায় কোনো যানজট হবে না। অন্য বছরের তুলনায় ঘরমুখো মানুষের চাপ বাড়লেও যানজট না হওয়ায় ভোগান্তি হবে না।
সান নিউজ/এনকে