নিজস্ব প্রতিনিধি:
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, কোনও দেশই করোনাভাইরাস মোকাবিলায় প্রস্তুত ছিল না। যে কারণে সব দেশেরই পর্যুদস্ত অবস্থা হয়েছে এবং সবদেশের স্বাস্থ্য খাতই আলোচনা-সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছে ও হচ্ছে।
বুধবার (১ জুলাই) দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দফতরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের দেশগুলোসহ পৃথিবীর উন্নত দেশগুলোতে উন্নত স্বাস্থ্য ব্যবস্থা এবং অর্থনৈতিক সঙ্গতি অনেক ভালো থাকা সত্ত্বেও তারা করোনা মহামারি ঠিকভাবে সামাল দিতে পারেনি। কারণ, এটার জন্য কেউই এমনকি চীনও প্রস্তুত ছিল না। চীনে যে চিকিৎসক করোনাভাইরাসের বিষয়ে প্রথম সতর্কবার্তা দিয়েছিলেন, তাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তিনি পরে করোনা আক্রান্ত হয়েই মারা গেছেন। প্রত্যেক দেশেই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এই পরিস্থিতিতে নানাভাবে সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছে। নেদারল্যান্ডের স্বাস্থ্যমন্ত্রী তো এই পরিস্থিতি সামাল দিতে না পেরে নিজেই পদত্যাগ করেছেন। জার্মানির একজন প্রাদেশিক মন্ত্রী আত্মহত্যা করেছেন। আরও অনেক দেশেই এ ঘটনা ঘটেছে।’
তথমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশে সীমিত সামর্থ্য নিয়ে করোনাভাইরাস মোকাবিলা করা হচ্ছে। প্রথমদিকে কিছু অসুবিধা ছিল, সমন্বয়েও কিছুটা ঘাটতি ছিল, সেটি এখন আর নেই। এখন অনেক সমন্বিতভাবে এই করোনাভাইরাস মোকাবিলার জন্য সরকার কাজ করে যাচ্ছে এবং সেকারণে আমাদের দেশে মৃত্যুর হার খুব কম।’
স্বাস্থ্য খাত নিয়ে সংসদে আলোচনা-সমালোচনাকে গণতন্ত্রের সৌন্দর্য হিসেবে আখ্যা দিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে সামনে রেখে প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে যেভাবে আলোচনা হয়েছে, এটিই ‘বিউটি অব দ্য ডেমোক্রেসি’। এভাবেই গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা, গণতন্ত্র এগিয়ে যায়। আমি মনে করি, সংসদের আলোচনাটি দায়িত্ব পালনে এবং গণতন্ত্রকে সঙ্গত করার ক্ষেত্রেও সহায়ক।’
‘সরকার পাট খাত ধ্বংস করছে’, ঐক্যফ্রন্ট নেতাদের এ বক্তব্যের দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপিই পাট খাত ধ্বংস করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছিল এবং প্রায় ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গিয়েছিল। বিএনপি’র আমলে বিশ্বব্যাংক-আইএমএফের পরামর্শ অনুযায়ী তারা আদমজিসহ অনেকগুলো জুট মিল বন্ধ করে দিয়েছিল। আবার অনেকগুলো শত শত কোটি টাকা মূল্যের জুট মিল কয়েক কোটি টাকায় ব্যক্তি মালিকানায় বিক্রি করে দেওয়া হয়েছিল। এটি শুধু খালেদা জিয়া করেছেন তা নয়, জিয়াউর রহমানের আমল থেকে সেটি শুরু হয়েছিল।’
মন্ত্রী দাবি করেন, বর্তমান সরকার কোনও পাটকল বন্ধ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেনি। বরং পাট খাতকে ঢেলে সাজানোর অংশ হিসেবে এবং এই পাট খাতের উন্নতির জন্য সংস্কারের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।’