নিজস্ব প্রতিনিধি:
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর শারীরিক অবস্থার আবারও অবনতি হয়েছে। মঙ্গলবার (৩০ জুন) রাতে এক সংবাদ বিবৃতিতে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের জিআর কোভিড-১৯ র্যাপিড ডট ব্লট কিট প্রকল্পের সমন্বয়কারী ডা. মুহিব উল্লাহ খোন্দকার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ডা. মুহিব উল্লাহ বলেন, ‘ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী কোভিড-১৯ পরবর্তী সেকেন্ডারি নিউমোনিয়ায় ভুগছেন। সপ্তাহে তিনবার ডায়ালাইসিস নির্ভরতা ও বিকল কিডনি রোগী হিসেবে দীর্ঘ এক মাস রোগে ভোগের কারণে উনার শরীর খুবই দুর্বল। স্বরযন্ত্রের প্রদাহের কারণে বর্তমানে তার কথা বলা নিষেধ।’
তিনি আরও বলেন, ‘ডা. জাফরুল্লাহ সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে এ দেশের হাজারো মানুষের দোয়া এবং সীমাহীন মানসিক দৃঢ়তায় রোগের সঙ্গে লড়ে যাচ্ছেন। তিনি সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন এবং উনার স্বপ্ন বাস্তবায়নে দেশের অবস্থাসম্পন্নদের সহায়তা চেয়েছেন।’
ডা. মুহিব উল্লাহ বলেন, ‘সোমবার (২৯ জুন) প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এবিএম আবদুল্লাহ ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে দেখে গেছেন। তিনি প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়েছেন এবং তার অবস্থার অগ্রগতি সম্পর্কে নিয়মিত জানাতে বলেছেন।’
গণস্বাস্থ্যের তৈরি জিআর কোভিড-১৯ র্যাপিড অ্যান্টিবডি কিট নিবন্ধন না পাওয়ায় ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী খুবই বিষণ্ণ বলে উল্লেখ করে ডা. মুহিবুল্লাহ বলেন, ‘তবে ঔষধ প্রশাসন ও বিএসএমএমইউ কিটের উন্নয়নে সহায়তা করবে জানতে পেরে তিনি ধন্যবাদ জানিয়েছেন। গণস্বাস্থ্য আরএনএ বায়োটেক লিমিটেড কিটের আরও উন্নত সংস্করণ তৈরি করছে। তিনি আশাবাদ প্রকাশ করেছেন, শিগগিরই কিটটি নিবন্ধন পাবে এবং শিগগির বিএসএমএমইউ অ্যান্টিজেন কিট পরীক্ষার কাজ শুরু করবে।’
ডা. জাফরুল্লাহ গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে কোভিড-১৯ রোগীদের জন্য শিগগিরই ১৫ শয্যার একটি আইসিইউ চালু করতে যাচ্ছেন বলে উল্লেখ করে ডা. মুহিবুল্লাহ বলেন, ‘অসুস্থতার মাঝেও তিনি অর্থ জোগাড়ের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন এবং সার্বিক কর্মকাণ্ড পর্যবেক্ষণ করছেন।’
প্রসঙ্গত, গত ২৮ মে থেকে ডা. জাফরুল্লাহ গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে অধ্যাপক ডা. ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মামুন মোস্তাফি ও অধ্যাপক ডা. নাজিব মোহাম্মদের সার্বক্ষণিক তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন আছেন। এর আগে গত ৯ জুন তার চিকিৎসায় বাংলাদেশ, ইংল্যান্ড ও ভারতের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সমন্বয়ে একটি অনলাইন মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়। তাদের সমন্বয়ে তার চিকিৎসা চলছে।
উল্লেখ্য, গত ২৫ মে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর শরীরে করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়। আর গত ১৩ জুন তৃতীয় দফায় তার করোনা টেস্টের ফলাফল নেগেটিভ আসে।