নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলার আকাশে আজ উঠেছে নতুন বছরের নতুন সূর্য। আজ পহেলা বৈশাখ বঙ্গাব্দ ১৪২৯-এর প্রথম দিন। পুরোনো জরাজীর্ণকে দূরে ঠেলে বাঙালি আজ নতুন বছর নতুন আনন্দে বরণ করবে।
বাংলার ঘরে ঘরে আজ চলছে উৎসবের আমেজ। পহেলা বৈশাখ বাঙালির নিকট সবচেয়ে বড় অসাম্প্রদায়িক উৎসব। হাজারো ঐতিহ্যের বহমানতায় বাঙালি হারিয়ে যাবে বাঁধাভাঙা উল্লাসে।
সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে পুরোনো সব গ্লানিকে মুছে ফেলে সবাই গেয়েছে নতুন দিনের গান। ১৪২৮-এর আনন্দ-বেদনা, হাসি-কান্নার হিসাব চুকিয়ে শুরু হবে নতুন এক পথচলা। জাতিধর্মনির্বিশেষে সর্বজনীন উৎসবে নববর্ষ উদযাপন করে একসঙ্গে গাইবে ‘এসো হে বৈশাখ এসো এসো’।
বাংলার গ্রাম, শহর, বন্দর, পথঘাট-সব জায়গায় আজ দোলা দিচ্ছে পহেলা বৈশাখ। নাচে-গানে, ঢাকে-ঢোলে, শোভাযাত্রায় পুরো জাতি বরণ করছে নতুন বছরকে। খোলা হয়েছে বছরের নতুন হিসাব নিয়ে হালখাতা। চলছে মিষ্টিমুখ।
এদিকে বাংলা নববর্ষ উপলক্ষ্যে দেশবাসীকে নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানিয়ে পৃথক বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রধানরা। শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এবং বিরোধীদলীয় উপনেতা জিএম কাদের। আরও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আরও পড়ুন: বৈশাখের প্রথম দিন হালখাতা, শেষে শোভাযাত্রা
অপরদিকে এবার বাংলা নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে রমনার বটমূলে বর্ষবরণের আয়োজন করেছে ছায়ানট। ‘নবীন আশা জাগল যে রে আজ/ নূতন রঙে রাঙা তোদের সাজ’ স্লোগানে রাগালাপের মাধ্যমে আজ সকাল ৬টায় রমনার বটমূলে শুরু হয় ছায়ানটের বাংলা নববর্ষবরণের আয়োজন। এবারের প্রতিপাদ্য ‘নব আনন্দে জাগো’। রমজানের পবিত্রতা রক্ষা এবং স্বাস্থ্যবিধি বিবেচনায় রেখে এবারের আয়োজনে শিল্পীসংখ্যা কমানো হয়েছে।
সাননিউজ/এমএসএ