নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজধানীর সদরঘাটে বুড়িগঙ্গা নদীতে লঞ্চের ধাক্কায় অপর লঞ্চ ডুবির ঘটনাটি পরিকল্পিত বলে মনে করছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘সিসি টিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে মনে হয়েছে এটি দুর্ঘটনা নয়, এটি একটি হত্যাকাণ্ড। এক্ষেত্রে লঞ্চ মালিকদের গাফিলতি আছে কি না তা খতিয়ে দেখা হবে।’
সোমবার (২৯ জুন) বিকালে লঞ্চ দুর্ঘটনার স্থান এবং উদ্ধার কার্যক্রম পরিদর্শনের সময় নৌ প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
খালিদ মাহমুদ জানান, বিআইডব্লিউটিএ’র নৌদুর্যোগ তহবিল থেকে লঞ্চ দুর্ঘটনায় মৃত প্রত্যেকের পরিবারকে দেড় লাখ টাকা করে দেয়া হবে। তাৎক্ষণিকভাবে দাফনের জন্য বিআইডব্লিউটিএ’র পক্ষ থেকে ১০ হাজার করে টাকা এবং ঢাকা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২০ হাজার করে টাকা দেয়া হয়েছে।
এসময় মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী, বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক এবং নৌপুলিশের ডিআইজি মো. আতিকুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
সোমবার সকাল পৌনে আটটার দিকে মর্নিং বার্ড নামে একটি লঞ্চ অর্ধশতাধিক যাত্রী নিয়ে মুন্সীগঞ্জ থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে আসে। পথে ফরাশগঞ্জ এলাকায় ময়ূর-২ নামের লঞ্চের সঙ্গে ধাক্কা লাগলে ডুবে যায় সেটি। কেরানীগঞ্জের একটি ডকইয়ার্ড থেকে মেরামত শেষে ময়ূর-২ নদীতে নামানোর সময় ওই দুর্ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ও কোস্টগার্ড ২৩ জন পুরুষ, ৭ জন নারী এবং তিনটি শিশুসহ ৩৩ জনের মরদেহ উদ্ধার করেছে।