সান নিউজ ডেস্ক: আমেরিকার সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক মধুর। সুখে-দুঃখে তারা আমাদের পাশে আছে। সিঙ্গেল দেশ হিসেবে আমাদের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগে এক নাম্বারে যুক্তরাষ্ট্র বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
আরও পড়ুন: যুদ্ধের প্রভাবে দেশে গ্যাসের দাম বেড়ে যাচ্ছে
বুধবার (২৩ মার্চ) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের করা প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিতব্য পঞ্চম বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনে বাংলাদেশের অংশগ্রহণের বিষয়ে জানাতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
র্যাবের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, নিষেধাজ্ঞার পর থেকে দেশটির প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলাপ হলেই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে বাংলাদেশ জোর দিচ্ছে। নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার নিয়ে আলোচনা অব্যাহত থাকবে।
ড. মোমেন বলেন, ১০ ডিসেম্বরের পরে মার্কিন প্রতিনিধি যার সঙ্গেই আলাপ হয়েছে, র্যাব ইস্যুটা এসেছে। সম্প্রতি মার্কিন আন্ডার সেক্রেটারির সঙ্গে এটা নিয়ে আলাপ হয়েছে। তিনি বলেছেন, গত তিন মাসে র্যাবের কারণে কোনো মৃত্যু হয়নি। আমরা ওনাদের বলেছি, আমরা রিমেডিয়াল মেজারস যা যা নেওয়ার নিচ্ছি। কোথাও কোনো অঘটন ঘটলে তার একটা আইনি প্রক্রিয়া আছে। রিমেডিয়াল মেজারস যেন কার্যকর হয় তার ওপর জোর দিচ্ছি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা উনাদের বলেছি, র্যাব আপনাদের গ্লোবাল গোল মানবপাচার, মাদক, বিশেষ করে সন্ত্রাসবাদ কমানো নিয়ে খুব ভালো কাজ করেছে। তারা যেন তাদের কাজ চালিয়ে যেতে পারে...তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করলে আমরা খুশি হব। উনারা বলেছেন, এটা একটা জটিল প্রক্রিয়া। মুখে বললে হবে না। তারা এটা নিয়ে কাজ করছে। আমাদের সঙ্গে আরও আলাপ হবে।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়লো
ঢাকা ও ওয়াশিংটনের কূটনৈতিক সম্পর্কের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আগামী মাসের শুরুর দিকে যুক্তরাষ্ট্র সফরে যাচ্ছেন ড. মোমেন। সফরে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের প্রসঙ্গ তোলা হবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, অবশ্যই তুলব। আমেরিকায় গেলে এটা তুলব।
বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক আরও ভালো হওয়ার কারণ ব্যাখায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা গণতন্ত্রের সবচেয়ে বড় প্রবক্তা। গত ১৩-১৪ বছরে আমাদের দেশে স্মুথলি গণতন্ত্র চলছে। এটার কিন্তু নজির মাঝখানে ছিল না। আগে মিলিটারি, অমুক-তমুক ছিল…এখন কিন্তু শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গত ১৩ বছর ধরে বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। আমরা বিচার ও স্বচ্ছতায় বিশ্বাস করি। আমরা বৈষম্যে বিশ্বাস করি না। বৈষম্যমুক্ত দেশ আমাদের।
সান নিউজ/এনকে