নিজস্ব প্রতিবেদক: টানা তিন দিনের সরকারি ছুটির কারণে কক্সবাজার সৈকতে পর্যটকের ভিড় দেখা গেছে। গত দুই দিন ধরেই সৈকতে পর্যটকের এমন ভিড় লেগে আছে।
বৃহস্পতিবার জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০২তম জন্মবার্ষিকী এবং জাতীয় শিশু দিবসের ছুটিসহ সাপ্তাহিক দুই দিনের ছুটিতে পর্যটকের ভিড় বাড়ে।
সৈকতে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বালিয়াড়িতে দৌড়ঝাঁপ, সমুদ্রস্নান, মেরিন ড্রাইভ ভ্রমণ ও সূর্যাস্ত দেখাসহ আনন্দমুখর সময় কাটাচ্ছেন ভ্রমণকারীরা। সাগরপাড়ের সুগন্ধা পয়েন্ট, লাবণী, কলাতলী এবং কবিতা চত্বর বিচ পয়েন্টে বিপুলসংখ্যক পর্যটকের আনাগোনা দেখা গেছে।
রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থেকে আকতার উদ্দিন দম্পতি জীবনে প্রথমবার এসেছেন কক্সবাজারে। তারা বলেন, ‘এই প্রথমবার এসে কক্সবাজারকে দেখলাম। একসঙ্গে এত বিপুল মানুষ আগে আর দেখিনি। সৈকতে এত বেশি মানুষ দেখে মনে হচ্ছে, এটা ঢেউয়ের সমুদ্র নয় যেন জনসমুদ্র।’
নারায়ণগঞ্জের হোসাইন আহমদ বলেন, ‘এত দিন করোনার জন্য ঘরবন্দি জীবন কাটিয়েছি। সাগরপাড়ে এসে মনে হচ্ছে, এখন আমরা মুক্ত পাখির মতো উড়ছি আর ঘুরছি।’
কক্সবাজার ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন টুয়াকের সভাপতি আনোয়ার কামাল জানান, টানা তিন দিনের ছুটির কারণে বহুসংখ্যক পর্যটক এসেছেন কক্সবাজারে। সাগরপাড়ের হোটেল-মোটেলের প্রায় ৭০-৮০ ভাগ কক্ষ বুকিং হয়ে গেছে সপ্তাহ শুরুর আগেই।
হোটেল-মোটেল ও গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম সিকদার জানান, শনিবার পর্যন্ত হোটেল-মোটেল এবং গেস্ট হাউস বুকিং রয়েছে।
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ জানান, পর্যটকদের সব ধরনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজ করছে জেলা প্রশাসন এবং ট্যুরিস্ট পুলিশ।
আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরের নিম্নচাপ সাইক্লোনে পরিণত হতে পারে
কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহিউদ্দিন আহমেদ জানান, সিভিল ও পোশাকধারী পুলিশ পর্যটকদের নিরাপত্তায় প্রতিনিয়ত কাজ করছে।
সাননিউজ/এমএসএ