সান নিউজ ডেস্ক: রাজধানীর আদাবরে দুলাভাইয়ের দেওয়া আগুনে দগ্ধ দুই ভাই-বোনের মধ্যে মিতু আক্তার (৮) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে। তার শরীরের ৯৯ শতাংশ এবং বাপ্পীর ৮ শতাংশ দগ্ধ হয়।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে স্কুলছাত্রীর আত্মহত্যা
শুক্রবার (১৮ মার্চ) সকাল সাড়ে ৬টায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউতে) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় সে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. এস এম আইউব হোসেন।
তিনি বলেন, আজ ভোর সাড়ে ৬টার দিকে শেখ হাসিনা বার্নের নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রের ১০ নম্বর বেডে চিকিৎসাধীন দগ্ধ মিতু আক্তার মারা যায়। তার শরীরের ৯৯ শতাংশ দগ্ধ ছিল। তার ভাই বাপ্পিকে (৫) চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে, তার শরীরে ৮ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: রংপুরে বাস-ট্রাক সংঘর্ষে নিহত ২
এ ঘটনায় মামলা হলে বুধবার (১৬ মার্চ) দুপুরে সাভার থেকে ঘাতক দুলাভাই আলাউদ্দিনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার (১৫ মার্চ) বেলা ১১টার দিকে আদাবরের একটি বাসায় মিতু (৮) ও বাপ্পি (৫) নামের দুই ভাইবোনকে একটি কক্ষে আটকে রেখে আগুন ধরিয়ে দেন তাদের দুলাভাই আলাউদ্দিন। ওই বাসায় মিতুর মা ভাড়া থাকতেন। পাশেই থাকতেন তাদের বোন ও দুলাভাই।
আরও পড়ুন: টিভিতে আজকের খেলা
মিতুর বাবা বাবুল তালুকদারের বাড়ি ভোলার বোরহানউদ্দিনে। তিনি গ্রামের বাড়িতে কৃষিকাজ করেন। তার স্ত্রী ঢাকায় বাসাবাড়িতে কাজ করেন। তাদের চার মেয়ে, দুই ছেলে। ভাইবোনের মধ্যে মিতু ছিল চতুর্থ।
সাননিউজ/এমআরএস