সান নিউজ ডেস্ক : অবশেষে অমর একুশে বইমেলার পর্দা নামছে আজ। পাশাপাশি ভাঙছে লেখক, প্রকাশক, কবি, সাহিত্যিক ও বইপিপাসু ক্রেতা ও বিক্রেতাদের মিলনমেলা। ফের আগামী ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অপেক্ষার দীর্ঘ প্রহর গুনতে হবে এই আসরের জন্য।
আরও পড়ুন:রাশিয়ার ১৩ হাজার সেনা নিহত
বৃহস্পতিবার (১৭ মার্চ) রাত ৯টায় শেষ হয়ে যাবে বইমেলা।
বইমেলা শেষদিনে এসে বেলা ১১টা থেকে শুরু হয়। তবে সকাল ১০টা থেকেই রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে পাঠক ও ক্রেতারা পরিবার-পরিজন নিয়ে বাংলা একাডেমি ও শহীদ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আসতে থাকেন। দুপুর গড়াতেই বাড়তে থাকে ক্রেতার সংখ্যা।
সরেজমিনে গিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টার দিকে দেখা গেছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি ও শাহবাগ এলাকা দিয়ে বিভিন্ন বয়সী নারী, পুরুষ ও শিশুরা বইমেলা প্রাঙ্গণে যাচ্ছেন। বিভিন্ন স্টলের সামনে টুকটাক কেনাবেচাও হচ্ছে।
বিক্রেতারা জানান, একটি মাস পরিচিত-অপরিচিত ক্রেতাদের কাছে বই বিক্রির পাশাপাশি গল্প ও আড্ডায় ভালো সময় কেটেছে। এমন আড্ডা-গল্পের প্রহর পেতে একটি বছর অপেক্ষা করতে হবে। সবমিলিয়ে ভীষণ মন খারাপ।
আরও পড়ুন:মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাংলাদেশ বিনির্মাণের প্রতিজ্ঞা
এদিকে, বইমেলার শেষ দিনে বিভিন্ন স্টলের বিক্রেতা, বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া তরুণ-তরুণীদের মন খারাপ। আজ শেষ দিন হওয়ায় বিকেলের দিকে ক্রেতা-পাঠকদের ভিড় বাড়বে। তখন বেচাকেনাও হয়তো বাড়বে।
আরও পড়ুন:বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে ফেলার সাধ্য কারও নেই
প্রসঙ্গত, করোনা সংক্রমনের কারণে অমর একুশে বইমেলা পিছিয়ে এবার কিছুটা দেরিতে শুরু হয়। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি ৩৮তম বইমেলার উদ্বোধন করেন।
আরও পড়ুন:পানামার পতাকাবাহী ৩ জাহাজে রুশ হামলা
বাংলা একাডেমি প্রথমে জানিয়েছিল অমর একুশে বইমেলা ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে। পরে মেলার সময়সীমা বাড়িয়ে ১৭ মার্চ করা হয়। এবারের মেলায় ৩ হাজারেরও বেশি নতুন বই এসেছে। প্রকাশিত বইয়ের মধ্যে এক-তৃতীয়াংশই কবিতার বই।
সান নিউজ/এইচএন