সান নিউজ ডেস্ক : লাল-সবুজের পতাকা যদি থাকে বঙ্গবন্ধু সেখানে থাকবেন। তাই বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে প্রতিজ্ঞা হোক মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাংলাদেশ বিনির্মাণ। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা রক্ষা ও বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে হলে তার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে হবে বলে মন্তব্য করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
আরও পড়ুন: রাশিয়ার ১৩ হাজার সেনা নিহত
বৃহস্পতিবার (১৭ মার্চ) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০২তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস-২০২২ উপলক্ষে পিরোজপুর জেলা প্রশাসন আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ অবিচ্ছেদ্য সত্তা। বঙ্গবন্ধুর দীর্ঘ রাজনৈতিক সংগ্রামের পথ পরিক্রমায় আজকের এই মুক্ত স্বাধীন স্বদেশ। তার জীবনচিত্র বাংলাদেশকে মুক্ত করার আন্দোলন-সংগ্রামের সঙ্গে সম্পৃক্ত। বঙ্গবন্ধুর লক্ষ্য ছিল খেটে খাওয়া মেহনতি মানুষদের নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে একটি রাজনৈতিক সমাজব্যবস্থা বিনির্মাণ করা। বঙ্গবন্ধু ও স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম পারস্পরিক সম্পর্কযুক্ত বলেছেন
তিনি আরও বলেন, আত্মপ্রত্যয়ে দৃঢ়চেতা বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে ন্যায়সঙ্গত অধিকার প্রতিষ্ঠার জায়গায় নিয়ে এসেছিলেন। আমাদের স্বাধীনতা অর্জনের পথে তিনি দৃঢ় অবস্থান নিয়েছিলেন। ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের মাধ্যমে গোটা জাতিকে স্বাধীনতার প্রস্তুতির সব নির্দেশনা দিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে ফেলার সাধ্য কারও নেই
রেজাউল করিম আরও যোগ করে বলেন, বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচার হলেও এ হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যের কুশীলবদের বিরুদ্ধে আমরা এখনো ব্যবস্থা নিতে পারিনি। নেপথ্যের কুশীলবদের খুঁজে বের করা অনিবার্যভাবে ইতিহাসের দায়। বঙ্গবন্ধু হত্যার ষড়যন্ত্রকারী ও হত্যাকারীরা যাদের প্রশ্রয় পেয়েছিল তাদের বিচার এখন সময়ের দাবি। তা না হলে ইতিহাসের দায়মুক্তি হবে না।
ভিডিও বার্তায় মন্ত্রী আরও বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা বঙ্গবন্ধুকে সে সময় দেশে ও দেশের বাইরে অনেকে মেনে নিতে পারেনি। তাই স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু যখন স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ বিনির্মাণে আত্মনিয়োগ করেছিলেন তখন তাকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। এ দেশকে আবার সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রে পরিণত করা হয়, স্বাধীনতাবিরোধীদের পুনর্বাসন করা হয়। রাজাকারদের মন্ত্রী বানানোর মতো নিকৃষ্ট ঘটনার মাধ্যমে এ দেশের ইতিহাসও পাল্টে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধু ছাড়া দেশের স্বাধীনতাকে কল্পনা করা যায় না
ভার্চ্যুয়াল এ সভায় সভাপতিত্ব করেন পিরোজপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহেদুর রহমান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন পিরোজপুর জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রেবেকা খান, সরকারি সোহরাওয়ার্দী কলেজের অধ্যক্ষ আলী আজম, সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ তৌহিদুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক চৌধুরী রওশন ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোল্লা আজাদ হোসেন, জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার যুগ্ম পরিচালক আব্দুল কাদের, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আখতারুজ্জামান ফুলু, সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউল আহসান গাজী, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক গৌতম নারায়ণ রায় চৌধুরী, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি রাসেল পারভেজ ও সাধারণ সম্পাদক সুমন শিকদার, জেলা মৎস্যজীবী লীগের আহ্বায়ক শিকদার চান, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোপাল বসু, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মাকসুদুল ইসলাম লিটন, স্থানীয় বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা ও রাজনৈতিক নেতারা।
এদিকে, বৃহস্পতিবার সকালে বঙ্গবন্ধুর ১০২তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরীর নেতৃত্বে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। এ সময় মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সুবোল বোস মনি, মো. তৌফিকুল আরিফ ও এস এম ফেরদৌস আলম, বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশনের চেয়ারম্যান মো. হেমায়েৎ হুসেন, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মনজুর মোহাম্মদ শাহজাদা, মৎস্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মো. আতিয়ার রহমানসহ মন্ত্রণালয় ও এর আওতাধীন দপ্তর সংস্থার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বদলে গেলো বঙ্গবন্ধু’র বায়োপিকের নাম
পরে রাজধানীর মৎস্য ভবনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০২তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
সাননিউজ/এমআরএস