নিজস্ব প্রতিবেদক:
ঢাকা সিটি নির্বাচনের তারিখ পেছানোর দাবিতে বুধবার দুপুরে শাহবাগ মোড়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের অবরোধকালে সৃষ্ট যানজটে বিরক্ত হয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বাক-বিতন্ডায় জড়িয়ে পড়েন এক ব্যবসায়ী। এসময় ক্ষিপ্ত হয়ে আলিফ রুশদি নামের ৪৫ বছর বয়সী ওই ব্যবসায়ীতার পিস্তল বের করে এক ছাত্রকে হুমকী দেন। এসময় গণপিটুনির শিকার হন তিনি।
পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যান জিজ্ঞাসাবাদের জন্য। পরে আলিফকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয় বলে জানান রমনা জোনের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ কমিশনার এসএম শামীম।
পুলিশ বলছে, আলিফ রুশদির বাড়ি পুরান ঢাকার সূত্রাপুরে, বাবার নাম মোসলেহ উদ্দীন। পেশায় আলিফ রুশদি একজন ব্যবসায়ী। তার ওই পিস্তল লাইসেন্স করা। অনুমোদিত আরেকটি শটগানও তার সঙ্গে পাওয়া গেছে।
অবরোধে আটকা পড়া ঐ ব্যক্তি কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে আগ্নেয়াস্ত্রটি বের করেন। তখন ছাত্ররা বিক্ষুব্ধ হয়ে অস্ত্র কেড়ে নিয়ে তাকে মারধর শুরু করে। পরে পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
বিক্ষোভস্থলে থাকা এক ছাত্র জানান, লোকটি গাড়ি করে অবরোধ ভেঙে যেতে চাচ্ছিল। শিক্ষার্থীরা তাতে বাধা দিলে সে পিস্তল বের করে একজন শিক্ষার্থীর বুকে তাক করে। শিক্ষার্থীরা তখন ক্ষুব্ধ হয়ে তাকে মারধর শুরু করে।
সহকারী কমিশনার এসএম শামীম জানান, আলিফ রুশদি হাসান স্ত্রী-সন্তান নিয়ে গাড়ি করে যাচ্ছিলেন। শাহবাগ মোড়ে যানজটে আটকা পড়ে বিরক্ত হয়ে লাইসেন্স করা পিস্তল নিয়ে গাড়ি থেকে বের হয়েছিলেন। তখন শিক্ষার্থীরা তাকে মারধর করেছে।
সান নিউজ/সালি